সাইফুল্লাহ হাসান ::
জুড়ী উপজেলার রাস্তায় প্রতিনিয়ত বেপরোয়া মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য। তা এখন সাধারণ মানুষের জন্য আতঙ্কের নাম। প্রতিদিনই ঝুঁকির মুখে পড়ছে পথচারী, শিক্ষার্থী, নারী ও শিশু। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ, অথচ এর প্রতিকার কোথায়? এসব কে দেখবে?
প্রশ্ন জাগে, এদের লাগাম টানার দায়িত্ব আসলে কার? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি কেবল দুর্ঘটনার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর জন্যই থাকবে? প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কোথায়? রাস্তা দিয়ে হেঁটে সাধারণ মানুষ, স্কুলগামী শিশুরা পর্যন্ত আজ নিরাপদ নন এই বেপরোয়া গতির কাছে।
গত (১ অক্টোবর) বুধবার জুড়ীতে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারান মাদ্রাসা ছাত্র ইছমাইল হোসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনজন আরোহী একটি মোটরসাইকেলে দ্রুতগতিতে ছুটছিলেন। ফলে একটি নিরপরাধ প্রাণ ঝরে গেল।
নিহত ইছমাইলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়। তার বাবা ছেলের নিথর দেহ নিতে জুড়ীতে আসেন এবং কোনো অভিযোগ ছাড়াই লাশ নিয়ে চলে যান নিজ এলাকায়। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়, এ ঘটনা যদি জুড়ী উপজেলার কারও সাথে ঘটত, তাহলে কি এতটা নীরব থাকত আমাদের সমাজ? ফেসবুক থেকে চায়ের দোকান, সবখানে আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠত। প্রশাসনকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হতো। কিন্তু শুধু ইছমাইলের বাড়ি অন্য জেলায় হওয়ায় কি আমাদের দায়বদ্ধতা শেষ হয়ে যায়?
মোটরসাইকেল কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু তা যদি আইন ভেঙে, হেলমেট ছাড়া, লাইসেন্স ছাড়া এবং গতি সীমা অমান্য করে চলে-তাহলে সেটিই হয়ে ওঠে মৃত্যুর ফাঁদ। এ অবস্থায় কঠোর অভিযান, নিয়মিত ট্রাফিক মনিটরিং এবং স্থানীয় প্রশাসনের আন্তরিক পদক্ষেপ জরুরি।