নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা বিএনপি'র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট দিলেন যুবলীগ ও কৃষকলীগের দুই নেতা। এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এই দুই নেতার ভোট দেওয়া নিয়ে খোদ বিএনপির একটি মহল সমালোচনা করেছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলন হয়। সম্মেলন শেষে দুপুরে ভোটগ্রহণ হয় ৫টি পদে। মোট ৪২৬ ভোটারের মধ্যে ৪২৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম বিগত সময়ে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি প্রথমে ২০০৯ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরে ২০১৭ সালে নতুন করে ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি হলে সেই কমিটিতে তিনি সহ সভাপতির দায়িত্ব পান। আওয়ামী লীগের পতনের সময় পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী সরকারের পতন হলে বিএনপির কমিটিতে তিনি যোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, আমি একটু বাইরে আছি। পরে কল দেব।
এছাড়া ফুলতলা ইউনিয়ন কৃষকলীগ সদস্য বাবুল আহমদও বিএনপির এই কাউন্সিলে ভোট দেন। তিনি ২০২২ সালে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বাবুল আহমদকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সাথে নিয়মিত দেখা যেত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। বাবুল আহমদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট আবেদ রাজা বলেন, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলাম। আমাকে যে ভোটার তালিকা দেওয়া সেটা দিয়ে আমি নির্বাচন পরিচালনা করেছি। এই তালিকা করেছে উপজেলা বিএনপি। আমার কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। এটা দলের সাথে বেইমানি। সম্মেলনে আমার বক্তব্যে বলেছি এরকম ফ্যাসিস্টদের দুসর বিএনপির কমিটিতে থাকলে কমিটি বাতিল করে দেবার জন্য। শর্ষের মধ্যে ভুত থাকলে কি করা যায়। আসলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন