জুড়ীতে ইট সলিংয়ে বালুর পরিবর্তে মাটি দিলেন ইউপি সদস্য

জুড়ীতে ইট সলিংয়ে বালুর পরিবর্তে মাটি দিলেন ইউপি সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিল প্রকল্পের কাজে ইট সলিংয়ে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বড় ধামাই গ্রামে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ২ নং পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড় ধামাই গ্রামে হাজী নূর আলী মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে মজর আলীর বাড়ির সম্মুখ পর্যন্ত ইউপি রাস্তার ইট সলিংয়ের কাজ চলছে। রাস্তার কাজে ইটের পাশাপাশি বালু দেয়ার কথা থাকলে দেওয়া হচ্ছে মাটি। 
যার জন্য রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ইট সলিংয়ে অর্ধেক জায়গায় ইটের ওপর বালির পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করেছেন ইউপি সদস্য। এতে বৃষ্টি হলে হেঁটে হেঁটে চলাচল মুশকিল হয়ে উঠে। ইটের নিচে কাঁদা থাকায় হাঁটলে নুয়ে যায় ইট, ছিটকে পড়ে কাঁদা। যার জন্য দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের।

বিষয়টি এলাকাবাসী পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রুহেল উদ্দিনকে অবগত করেন। চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্যকে ডেকে বালু দেয়ার নির্দেশ দিলেও ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও বালু দেয়া হয়নি।

রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শাহীন আহমেদ বলেন, ইট সলিং দেয়ার পরেই বৃষ্টি হয়েছিল। পরদিন গিয়ে দেখি রাস্তায় কোনো ইট নেই শুধু মাটি দেখা যাচ্ছে। ইট সলিং শেষ হয়েছে টিলার উপর, সেখান থেকে আমার নিজেকে নামতে বেগ পোহাতে হয়েছে। এতোটাই পিচ্ছিল ছিলো। এছাড়াও ইটগুলো নড়ছিল শুধু।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রেজান আলী বলেন, স্পটে এসে আপনি দেখে যান আমরা মাটি দেইনি। আমরা যার মাধ্যমে রাবিশ আনি ওইদিন সম্ভবত সে একটু লাল রঙের রাবিশ দিয়ে দিছে, এজন্যই এলাকার মানুষ ভুল বুঝেছে। আসলে এটা মাটি নয় রাবিশ।

ইট সলিংয়ে মাটি ব্যবহারের সত্যতা স্বীকার করে পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রুহেল উদ্দিন বলেন, এখানে মূলত কাজ ঠিকটাকই হয়েছে। শুধু ইট সলিংয়ের শেষের কিছু অংশে রাবিশ কম থাকায় ভুলবশত একটু মাটি দেয়া হয়েছে, তাৎক্ষণিক মেঘ হওয়ায় কাঁদা হয়ে যায়। পরদিন আমি সেখানে গিয়ে ইউপি সদস্যকে ডেকে এনে বলে এসেছি ওই জায়গায় যেন বালু দেয়া হয়। আমরা অপেক্ষা করছি মেঘ আগের মাটিগুলো ধুয়ে নেক, তারপর উপরে বালু দিব।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন