ডেস্ক রিপোর্ট::
কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সেই প্রাচীরগুলোতে নানা রাজনৈতিক পোস্টারের আড়ালে ঢাকা পড়েছে গ্রাফিতির রং। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি পোস্ট দেয়।
দেখা যায় জায়ফরনগর ইউনিয়নের প্রাচীরের একটি ছবি, যেখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি বাণী দেয়াল গ্রাফিতিতে লেখা ছিল (কারার ওই লৌহ কপাট)। কিন্তু আজ তা পুরো ঢেকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোস্টারের আড়ালে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাহান হোসেন বলেন, জুড়ীর রাজনীতিবিদরা কতটুকু শিক্ষিত আর জ্ঞানী তা প্রমাণ হয়ে যায় তাদের এই নিকৃষ্ট কাজে। ভাবতে অবাক লাগে এরা হবে আমাদের প্রতিনিধি? যার বিবেক নাই সে পশুর সমান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কাছে এটি কেবল প্রাচীরের রং হারানো আর ঢেকে দেয়া নয়, বরং ছাত্রসমাজের শ্রদ্ধা ও জুলাই স্মৃতির প্রতি সম্মান আংশিকভাবে ক্ষুণ্ন করার সমতুল্য। আমরা প্রশ্ন করি—যারা এই গ্রাফিতির ওপর পোস্টার দিয়েছে, তারা কি কখনো ভেবেছে এটি কি আমাদের ইতিহাস, আমাদের স্মৃতি, আমাদের সৌন্দর্যকে অদৃশ্য করার সমতুল্য? তাদের মানবতা, মূল্যবোধ এবং বিবেক কি একবারও এটি দেখেছে?
তারা বলেন, ছাত্রদের এই গ্রাফিতির প্রতি আমাদের মায়া, আমাদের ভালোবাসা কেনো অবহেলিত হল! কেনো সৌন্দর্য ও স্মৃতিকে অপ্রতিষ্ঠিত ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের মাঝে ফেলা হল? আমরা আশা করি প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণ এই উদাসীনতা এড়িয়ে সত্যিকারের স্মৃতিসৌধ ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাবে।