আশরাফ আলী::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলার শাহ নিমাত্রা (রহ.) এর মাজারে ৫৪ তম ওরস নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে দুটি গ্রুপের অবস্থান বিষয়টিকে উত্তেজিত করে তুলে। বৃহস্পতিবার গুঞ্জন উঠে ডিসি ওরস বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। একপক্ষ ওরস বন্ধ এবং অন্যপক্ষ ওরসের কার্যক্রম করতে মিছিল করে। এই নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে একপক্ষের দাবি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ওরস শুরু হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় ফুলতলা বাজারে গিয়ে পৌঁছে বাজার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে একটু বাজারে ঘুরাঘুরি করলাম। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এবছর ওরসে লোকজন নেই বললে চলে। ঘুরাঘুরির পর মাজারে যাবার পালা।
মাজারে যখন যাই তখন দেখি মাথায় টুপি পরা একজন লোক সবে সেজদা শেষ করেছেন। আরেকজন মুখে ছোট ছোট দাড়ি তিনি সিজদা দিচ্ছেন। আমরা রেডি হবার আগেই দুইজন সেজদা থেকে উঠে দোয়া শুরু করলেন। এরপর আমরা কিছুক্ষণ ঘুরলাম মাজারে। এরমধ্যে একজন সেজদা শুরু করলেন। তখন আমার সাথে থাকা জুড়ীরসময় এর উপ সাহিত্য সম্পাদক খালেদ মাসুদ দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করলেন। আমরা আরও একটু সময় ভিডিও ধারণ করি। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে হাওয়া বাতাস ভালো নয় দেখে সেখান থেকে চলে আসি।
অন্যান্য বছরের তুলনায় মানুষের সংখ্যা খুব একটা না থাকলেও দূর-দূরান্ত থেকে ভক্ত আশেকান বৃন্দ মাজারে এসে দান দক্ষিণা দিচ্ছেন। কেউ মাজার জিয়ারত করছেন আবার কেউ আগরবাতি ও মোমবাতি প্রজ্বলন করছেন।
মাজারের ভিতরে ঢুকার আগে কয়েকজনকে দেখা যায় চাঁদা তুলতে। মাইকে চাঁদার বিবরণও দিচ্ছেন। শিরণীর ডেগে টাকা দিতেও কয়েকজনকে দেখা যায়। মাজারে ঢুকার আগে পুলিশের কয়েকজনকে চোখে পড়ে। সেখানে তারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন বলে জানান তারা। একপাশে মহিলার প্যান্ডেলে মহিলাদের দেখা যায়। এখানে চেয়ারের সারিতে বসে আছেন বেশ কয়েকজন লোকজন। দেখে মনে হয়েছে এরা মাজার কমিটির কেহ হবেন।
রাত ১২টার পর খবর আসে ওরসে শুরু হয়েছে গান এবং নৃত্য। একটি ভিডিওতে দেখা যায় কাফেলার গান বাজনা চলছে। তার মধ্যে একজনকে বলতে শুনা যায় জমে উঠছে ওরস। এরপরই খবর আসে তাওহীদি জনতা আগামীকাল জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস যোগে ফুলতলায় গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসন কার্যকরি উদ্যোগ না নিলে অবস্থা আরও বেগতিক হবে।
আমরা সকল শান্তি চাই। যারা ওরসের নাম নিয়ে গান বাজনার আসর জমিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ভূমিকা নিতে হবে। আইনের আওতায় তাদের নিয়ে আসলে ক্ষোভ দমন করা সহজ হবে। এবং তাওহীদি জনতাকে ফুলতলা অভিমুখে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
লেখক: সম্পাদক, জুড়ীরসময়
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলার শাহ নিমাত্রা (রহ.) এর মাজারে ৫৪ তম ওরস নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে দুটি গ্রুপের অবস্থান বিষয়টিকে উত্তেজিত করে তুলে। বৃহস্পতিবার গুঞ্জন উঠে ডিসি ওরস বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। একপক্ষ ওরস বন্ধ এবং অন্যপক্ষ ওরসের কার্যক্রম করতে মিছিল করে। এই নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে একপক্ষের দাবি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ওরস শুরু হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় ফুলতলা বাজারে গিয়ে পৌঁছে বাজার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে একটু বাজারে ঘুরাঘুরি করলাম। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এবছর ওরসে লোকজন নেই বললে চলে। ঘুরাঘুরির পর মাজারে যাবার পালা।
মাজারে যখন যাই তখন দেখি মাথায় টুপি পরা একজন লোক সবে সেজদা শেষ করেছেন। আরেকজন মুখে ছোট ছোট দাড়ি তিনি সিজদা দিচ্ছেন। আমরা রেডি হবার আগেই দুইজন সেজদা থেকে উঠে দোয়া শুরু করলেন। এরপর আমরা কিছুক্ষণ ঘুরলাম মাজারে। এরমধ্যে একজন সেজদা শুরু করলেন। তখন আমার সাথে থাকা জুড়ীরসময় এর উপ সাহিত্য সম্পাদক খালেদ মাসুদ দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করলেন। আমরা আরও একটু সময় ভিডিও ধারণ করি। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে হাওয়া বাতাস ভালো নয় দেখে সেখান থেকে চলে আসি।
অন্যান্য বছরের তুলনায় মানুষের সংখ্যা খুব একটা না থাকলেও দূর-দূরান্ত থেকে ভক্ত আশেকান বৃন্দ মাজারে এসে দান দক্ষিণা দিচ্ছেন। কেউ মাজার জিয়ারত করছেন আবার কেউ আগরবাতি ও মোমবাতি প্রজ্বলন করছেন।
মাজারের ভিতরে ঢুকার আগে কয়েকজনকে দেখা যায় চাঁদা তুলতে। মাইকে চাঁদার বিবরণও দিচ্ছেন। শিরণীর ডেগে টাকা দিতেও কয়েকজনকে দেখা যায়। মাজারে ঢুকার আগে পুলিশের কয়েকজনকে চোখে পড়ে। সেখানে তারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন বলে জানান তারা। একপাশে মহিলার প্যান্ডেলে মহিলাদের দেখা যায়। এখানে চেয়ারের সারিতে বসে আছেন বেশ কয়েকজন লোকজন। দেখে মনে হয়েছে এরা মাজার কমিটির কেহ হবেন।
রাত ১২টার পর খবর আসে ওরসে শুরু হয়েছে গান এবং নৃত্য। একটি ভিডিওতে দেখা যায় কাফেলার গান বাজনা চলছে। তার মধ্যে একজনকে বলতে শুনা যায় জমে উঠছে ওরস। এরপরই খবর আসে তাওহীদি জনতা আগামীকাল জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস যোগে ফুলতলায় গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসন কার্যকরি উদ্যোগ না নিলে অবস্থা আরও বেগতিক হবে।
আমরা সকল শান্তি চাই। যারা ওরসের নাম নিয়ে গান বাজনার আসর জমিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ভূমিকা নিতে হবে। আইনের আওতায় তাদের নিয়ে আসলে ক্ষোভ দমন করা সহজ হবে। এবং তাওহীদি জনতাকে ফুলতলা অভিমুখে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
লেখক: সম্পাদক, জুড়ীরসময়
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ