সময়ের গতি

সময়ের গতি
সাহান হোসেন::
আজকে সময়ের সাথে দেখা হলো,
খানিকক্ষণ কথাও হলো।
সময়ের আবার ইদানীং অনেক তাড়া।
পলকে চলে আসে,
আবার পলকে ছুটে চলে যায়।
লজ্জাহীন হয়ে গেছে একদম।

তবে আগে সময়ের অনেক ভাব ছিল,
দেরি করতো সব বিষয়ে।
নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে যেতে,
তার জন্য কতো যে অপেক্ষা করতে হতো;
কতো যে দীর্ঘ ছিল সে-ই অপেক্ষা।
বরাতের রাতের পর মনে হতো,
এক বছর পর রমজান আসছে।
কি যে ভাব ছিল,
সব জায়গায় দেরি করতো।
খালি অপেক্ষা করাতো।
রমজানের ঈদ আর কোরবানির ঈদের মধ্যে,
মনে হতো বিশাল ব্যবধান।

আর এখন সময় অনেক ভালো হয়ে গেছে,
এতটা ভালো হয়েছে যে,
এখন আর আমার অপেক্ষার স্থায়ীত্বকাল
দীর্ঘ করতে চায় না।
মাগরিবের আযানের পর হাই তোলার আগেই,
রাত বারোটা বেজে ওঠে।
অথচ আগে রাত আটটা বাজলে,
ঘুমে চোখ টলমল করতো।
সময় হয়তো এখন বিবেক-বিবেচনার,
প্রচুর উন্নতি ঘটেছে।
তাই এখন তাড়াতাড়ি ঘুমকে ডেকে এনে,
আমাকে বিরক্ত করবার পক্ষে তার অনীহা।
এখন রমজানের দিনগুলি মনে হয়,
আসর থেকে মাগরিবের মধ্যবর্তী ব্যবধানের মতো অল্প।

সময় বহমান,
নিয়মিত সময়ের গতি বাড়ছে।
সময়কে আটকাতে হবে।
সময় আমার অস্তিত্ব নিয়ে ভাগছে,
বেপরোয়া পথে, কিয়ামতের উদ্দেশ্যে।

লেখক: সাহান হোসেন

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন