জুড়ীতে বাইক আরোহীকে মারধর, ক্ষমা চাইলেন আল-ইসলাহের সাধারণ সম্পাদক

বাইক আরোহীকে মারধর, ক্ষমা চাইলেন আল-ইসলাহের সাধারণ সম্পাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে র‍্যালী থেকে বাইক আরোহীর উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে ক্ষমা চাইলেন আঞ্চলিক সংগঠন আঞ্জুমানে আল-ইসলাহের জুড়ী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ মাকসুদ জুনেদ। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জুড়ীতে বিষয়টি নিয়ে শালিসি বৈঠকে ক্ষমা চান তিনি। শালিসে মো. আব্দুল্লাহ মাকসুদ জুনেদ ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাপ্পড় দেওয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ডিলিট করে দিতে অনুরোধ করেন।

শালিসি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী, আল-ইসলাহ নেতা আব্দুস শহীদ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব হাবিবুর রহমান হাবিব সহ স্থানীয় মুরব্বিগণ।

মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী বলেন, জুড়ীতে মিলাদুন্নবীর র‌্যালীকে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এটিকে নিয়ে স্থানীয় হাবিবুর রহমান, আব্দুস শহীদ সহ গণ্যমান্য মুরব্বিদের নিয়ে শালিসে বসা হয়। উক্ত ঘটনায় আল-ইসলাহ ও তালামীয এক তরফাভাবে ভুল স্বীকার করে নেয়। এই ঘটনার জন্য তারা ক্ষমা চেয়েছে। এবং আগামীতে যাতে এইরকম ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আর যাতে বাড়াবাড়ি না হয় সেটাও বলে দেওয়া হয় বৈঠকে।

আল-ইসলাহ নেতা আব্দুস শহীদ বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এই ঘটনায় সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছিল সেটি ভবিষ্যতে আর হবে না। আর আপনারা এই ঘটনায় ফেসবুক সহ অন্য কোন মাধ্যমে লেখালেখি করবেননা। যাতে নতুন করে আর কোন সমস্যা তৈরি না হয়।

শালিস ব্যক্তিত্ত হাবিবুর রহমান বলেন, ভিডিও ভাইরাল হবার পর বিভিন্ন ধরণের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়। মাকসুদ এক তরফা অন্যায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনা নিয়ে সুমন একটা লাইভ করে, সেখানে সে বলেছে হাত লেগে সুলতানের চশমা ভেঙেছে।  বৈঠকে সে বলেছে ঘটনাটি সে দেখেনি। এর জন্য সে ক্ষমা চেয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি নিয়ে শালিসি বৈঠকে সমাধান করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, সোমবার মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জুড়ীতে একটি র‌্যালী বের করে স্থানীয় আঞ্চলিক সংগঠন আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া। র‌্যালিটি জুড়ী শহর থেকে শুরু হয়ে এম এ মুমিত আসুক চত্ত্বর হয়ে জুড়ী-বড়লেখা রোডের জাঙ্গিরাই এলাকায় পৌঁছালে মোটরবাইক আরোহী ব্যবসায়ী সাঈদ বিন সুলতান ও জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইর্ন্টানরত চিকিৎসক মিনহাজ ফাহিম র‌্যালীটি অতিক্রম করে যেতে চাইলে বাঁধা দেন আঞ্জুমানে আল-ইসলাহের জুড়ী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ মাকসুদ জুনেদ। এসময় বাইক আরোহী জরুরী প্রয়োজন বলে বাইক নিয়ে সামনে আগালে জুনেদ সাঈদ বিন সুলতা কে থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।মাকসুদ জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুক মিয়ার ভাতিজা।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন