বিশেষ প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফ মোহাম্মদ নিয়াজুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পেকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
তায়েফের চাচাত ভাই অফিকুল ইসলাম হাদী জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাড়ি থেকে স্থানীয় পেকুর বাজারে যান তায়েফ। পরে বাড়ি ফেরার সময় একজন তার মোবাইলে ফোন দিয়ে পেকুর বাজারের পাশের একটি রাস্তায় যাওয়ার জন্য বলে।
তায়েফ ওই জায়গায় যাওয়া মাত্রই ৫ থেকে ৭ জন দুর্বৃত্ত কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই তায়েফকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
ইতিমধ্যে শাহাব উদ্দিন (৩৮) একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা তায়েফের বাড়ি একই ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে তায়েফ বাদী হয়ে কাদিরপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল হান্নান (৩৮), কৌলারশি গ্রামের কামরুল ইসলাম (৩৮), ইশতিয়াক আহমদ (৫৫), হেমেদ আনাফ (২২), তারেক আহমদ (৩৯), শাহাব উদ্দিন (৩৮) ও রায়হান আহমদের (২৪) নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিকসহ অন্যান্য পূর্ববিরোধের জের ধরে তাঁর ওপর এ হামলা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আটক শাহাব উদ্দিনকে ছাত্রলীগ নেতার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তায়েফ মোহাম্মদ নিয়াজুল ইসলাম বলেন, তিনি একসময় মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদের অনুসারী ছিলেন। নির্বাচনের পর নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। গত রোজার মাসে সফির সঙ্গে থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন। এর জেরে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।
তবে এ কে এস সফি আহমদ তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘তায়েফ মাদকাসক্ত। তাঁর নৈতিক স্খলন ঘটেছে। তাঁর অভিভাবকদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। মাদকের লেনদেন নিয়ে তাঁর ওপর হামলা ঘটেছে। আমার সঙ্গে কে থাকবে বা না থাকবে, সেটা তাঁদের নিজস্ব বিষয়।’
সৌজন্য: প্রথম আলো (আংশিক)
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/জামান