জুড়ীতে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য রুহেল আটক

জুড়ীতে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য রুহেল আটক

বিশেষ প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ী থেকে রুহেল উদ্দিন নামের এক মানবপ্রাচার কারী চক্রের  সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সিলেটের পুলিশ পরিদর্শক মো এসএম আল মামুন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে  রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে  উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বর থেকে রুহেল উদ্দিন (৩২)কে গ্রেফতার করে।সে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে।

আমর্ড পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা এএসআই সহিদুল ইসলাম পাবেল বলেন, মধ্যপাচ্য থেকে ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে রুহেল অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কয়েকজনকে নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে তাদের জিম্মি করে রাখতো।এ রকম সংবাদ কয়েকটি  পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।সর্বশেষ একই উপজেলার  মোঃ কামরুজ্জামান এর স্ত্রী সৈয়দা জলি বেগম (৩০) বাদী হয়ে  অভিযোগ দিলে সে অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগে  ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, তার স্বামী ভিকটিম কামরুজ্জামান সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করে এবং দালাল রুহেল ও তার বোন সীমা আক্তার সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করার সুবাদে তার স্বামীর সাথে পরিচয় হয়। তার স্বামীসহ আরো ২০/২৫ জন প্রবাসীকে বিভিন্ন প্ররোচনা ও প্রলোভন দেখিয়ে ফ্রান্স নেওয়ার কথা বলে। দালাল রুহেল ও সীমা বাদীর বোন সৈয়দা নাসরিন কলি ও দুলাভাই আল আমিন তালুকদার ও ভাই সৈয়দ জায়েদুল ইসলাম এর সাথে  ভিকটিম কামরুজ্জামানকে ফ্রান্স নেওয়ার কথা বলে ফোনের মাধ্যমে ৭,৭৫,০০০/- টাকার মৌখিক চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ১ অক্টোবর   রুহেল এর সহযোগী কামরুল ইসলামের কাছে ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং পরদিন রুয়েল এর সহযোগী তার চাচাতো ভাই রকি ইসলামের কাছে নগদ ৮০ হাজার এবং ৭০ হাজার টাকার এনআরবিসি ব্যাংকের চেক প্রদান করা হয়।এর দুইদিন পর তাদেরকে ফ্রান্স নিবে বলে  কামরুজ্জামানসহ আরো ১৮ জন কে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কিরগিজস্তান নিয়ে যায়। কিরগিজস্তান পৌছার পর দালাল রুহেল তার বিদেশি সহযোগীদের সহযোগিতায় সবাইকে আবদ্ধ ঘরে আটক করে রাখে।  কামরুজ্জামানের নিজের খরছের জন্য কাছে থাকা ১,২০,০০০/- টাকা  রুয়েল জোরপূর্বক নিয়ে সে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে আসে। দালাল রুয়েল মুক্তিপন হিসাবে কামরুজ্জামান এর পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করতে থাকে। ৪ লক্ষ টাকা পেয়ে ৫ মাস জিম্মি রাখার পর  রুয়েল ভিকটিম কামরুজ্জামানকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে আসে। কিরগিজস্তান থেকে দুবাই নিয়ে আসতে বিমান ভাড়াবাবদ ৫০ হাজার টাকাও নেয়।  রুয়েল দেশে আসলে গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর   স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গসহ তার কাছে গেলে সে সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করে বাদীকে গালাগাল করে ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।

এ ঘটনায় বিশ্বনাথপুর গ্রামের সৈয়দ জলি বেগম  ভবানীপুর গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে রুহেল উদ্দিন, তার বোন সীমা বেগম,চাচাতো ভাই রকি ইসলাম ও  তার আরেক সহযোগী মনতৈল গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলেকে কামরুল ইসলাম কে আসামী করে জুড়ী থানায়  মামলা দায়ের করেন।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন