নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করা ও ইতিহাসের পাতায় বিচরণের জন্য, "মুক্তিযোদ্ধার সাথে বিজয়ের গল্প" অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে সোনার বাংলা একতা সংঘের আয়োজনে সংগঠনের কার্যালয়ে সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাসুদের সঞ্চালনায় ও সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমেদ এর সভাপত্বিতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রফিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংঘের উপদেষ্টা জনাব জাকির হোসেন।
একাত্তরের গল্প শোনাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
বীর মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলী যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের কেউ বলে নাই যুদ্ধের জন্য। আমরা স্বেচ্ছায় দেশের টানে যুদ্ধে গেছি। আমি আমার বড় ভাই পরিবারকে ভারতে রেখে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ করি। শাহবাজপুর জামকান্দিসহ আরও অনেক এলাকায় যুদ্ধ হয়। আমাদের ক্যাম্প ছিলো ডোমাবাড়ীর পাহাড়ে।দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু যখন অস্ত্র জমা দিতে বলেন তখন আমরা অস্ত্র জমা দিয়ে দেই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রফিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, প্রথমে আমাকে পরিবার বাঁচাতে রাজাকারে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে চলে আসি। আমিসহ আরও ৯-১০জনকে নিয়ে ভারতে চলে যাই। সেখানে আমাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। ট্রেনিং শেষে যখন অস্ত্র হাতে নেওয়ার সময় আসলো, অস্ত্র ভান্ডারে তখন কোনো ভালো রাইফেল নাই। দায়িত্বরত সুবেদার বলেন, যুদ্ধ করতে হলে এগুলো দিয়ে করতে হবে। পরে আমরা এগুলো সাথে নিয়ে দেশের দিকে রওনা দেই।আমরা একবার মাত্র সরাসরি যুদ্ধ করি তা হয়েছিল জামকান্দি এলাকায়। ঐ এলাকার এক মৌলভীর সাথে এক মুক্তির ঝগড়া হয়। যখন আমরা খাবারের জন্য গরু জবাই করি, তখন মৌলভী কৌশলে তা পাক আর্মিকে খবর দিয়ে দেয়। সেখানে সরাসরি যুদ্ধে পাক আর্মির কয়েকজন নিহত হন। তবে আমাদের কেউ আহত হন নাই। পরে আমরা সিলেটের দিকে যাই।মোগলাবাজারে যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল পরে সেখানে যুদ্ধ হয়নি। আমরা সিলেট থাকা অবস্থায় খবর পাই দেশ স্বাধীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক সোহান, লিমন, তামিম, হাসান, সামিন ও তুহিন।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন