বিশেষ প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও নিজ মেয়েকে নির্যাতনকারী মাসুককে বিক্ষুদ্ধ জনতার উলঙ্গ করে গনপিটুনির ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন তার স্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ মামলায় সুমন ও বিল্লাল নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মাসুক মিয়ার (৪৮) স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৫)। এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের বীরগোগালী (রানীমুরা) গ্রামের বাসিন্দা মৃত তবদুল হোসেনের পুত্র মাসুক মিয়া (৪৯)। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে মাসুক নিজ বাড়ীতে ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা করছে। ইয়াবাসহ সে পুলিশের হাতে আটকও হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাবা মাসুক মিয়ার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন মেয়ে মাহমুদা আক্তার ফাহিমা (১৭)।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী গত রবিবার রানীমুড়া এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা মাসুকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা মাসুক মিয়াকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে উলঙ্গ করে গনপিটুনি দিয়ে পাশের জমিতে ফেলে রাখে।
পরে জুড়ী থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গণপিটুনির সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়াও গতবছরের ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী চাচাতো বোনকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে মাশুক মিয়া কে গ্রেপ্তার করে জুড়ী থানা পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর আপন বড় ভাই বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলার মাসুক মিয়া জেলও খেটেছেন। মামলাটির বিচার আদালতে এখনও চলমান আছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, এ মামলায় ইতিমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জুড়ীরসময়/ডিএইচ/জামান