জুড়ীতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ: অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ আ’লীগ নেতাদের

জুড়ীতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ: অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ আ’লীগ নেতাদের


নিজস্ব প্রতিবেদক::

জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্র সাত দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত রোববার রাতে উপজেলা সদরের জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় সমঝোতা বৈঠকে ছাত্রলীগ নেতাদের এ নির্দেশ দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

সমঝোতা বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতি মাসুক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাস, জেলা পরিষদের সদস্য বদরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আহমদ কামাল অহিদসহ দু'পক্ষের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে সংঘর্ষের বিষয়ে আলোচনা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ বলেন, ছাত্রলীগের দু'পক্ষের বিরোধ মিটমাট হয়েছে। শক্তভাবে উভয়পক্ষকে শাসানো হয়েছে। ভবিষ্যতে সংঘর্ষে জড়ালে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র এক সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে জমা দিতে উভয়পক্ষকে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ববিরোধের জেরে গত ৭ জুন উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনা এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়ার অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মীসহ ৮-১০ জন আহত হন। এ সময় সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ অটোরিকশাচালকরা প্রায় আধাঘণ্টা জুড়ী-লাঠিটিলা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। কোনো মামলাও হয়নি।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ