জুড়ীতে হঠাৎ উক্তপ্ত পরিস্থিতি কেন?

জুড়ীতে হঠাৎ উক্তপ্ত পরিস্থিতি কেন?


নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ উক্তপ্ত হয়েছে। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ, মিছিল পাল্টা মিছিল চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে। কিন্তু হঠাৎ করে এই পরিস্থিতির তৈরী হল কেন? সেটি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে টিম জুড়ীর সময়। 

ঘটনার শুরু যেভাবে। জুড়ীর একটি ইংলিশ কোচিং সেন্টার থেকে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘটনার উৎপত্তি। এই ঘটনার রেশ ধরে গত ০৩ নভেম্বর মেহেদী হাসান রনি নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে মারপিট করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল গ্রুপের অনুসারীরা। মূলত ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে এই দ্বন্ধ। তবে ইকবাল ভূইঁয়া তার অনুসারী বলতে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে গোয়ালবাড়ী এলাকায় ঘুরতে যান ইকবাল গ্রুপের অনুসারী কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। পরে তাদের আটকিয়ে মারপিট করেন গোয়ালবাড়ী এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক। এই ঘটনার রেশ ধরে রাতে জুড়ীতে দেশীয় অস্ত্র মহড়া দিয়ে বিক্ষোভ করে ইকবাল গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পরে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জল বলেন, গতকাল বুধবার ছোট ভাইয়েরা লাঠিটিলা এলাকায় কমলা বাগানে গেলে ছাত্রদলের মেহেদী হাসান রনিসহ বখাটেরা তাদেরকে মারধর করে। এঘটনায় তিন জন আহত হন। শান্তি প্রিয় এলাকা জুড়ীতে এরকম ঘটনা কোন সময় কাম্য নয়। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

জুড়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ঘটনাটি তাদের ব্যক্তিগত। এঘটনাকে একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে নিতে চাচ্ছে। ছোট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে জুড়ীতে এরকম শোডাউনে সাধারণ মানুষ আতংকিত। আমরা চাই জুড়ীর পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে প্রশাসন এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে।

গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই ঘটনা। এটির সাথে রাজনীতির কোন সংস্পর্শ নেই। আমার ইউনিয়নে তারা অতিথি হিসেবে এসে এরকম ঘটনার স্বীকার হওয়ায় আমি লজ্জিত।

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, রাতে মিছিলের খবর পেয়েছি। তবে আইনশূংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের নিয়মিত টহল অব্যাহত আছে। এটা আমাদের রুটিন কাজ।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন