জুড়ীতে সরকারি স্থাপনা ভেঙ্গে দিলেন ইউএনও

 

বেলাল হোসাইন:

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে নির্মিত সরকারি একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সেই স্থাপনা ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে গেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। 

জানা যায়, ২০০৪ সালে জুড়ী উপজেলা পরিষদ গঠনের পর চার তলা ভবন বিশিষ্ট উপজেলা কমপ্লেক্স গড়ে উঠে। ২০১০-১১ সালের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি টাকায় প্রশাসনিক ভবনের সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য ভবনের সামনের খালি জায়গায় পৃথক দু’টি বাগানসহ দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন। পাকা টাইলস লাগানো বৃহৎ স্থাপনার ভিতরে ফুলের গাছ দিয়ে "উপজেলা পরিষদ জুড়ী" লেখা ছিল। যা, দর্শকের দৃষ্টি কাড়ত। উক্ত বাগান দু’টি ও নাম ফলকের স্থাপনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষণ করার দায়িত্ব ছিল উপজেলা প্রশাসনের। কিন্তু তা না করে সেই স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলেন ইউএনও। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার ও সোমবার দুইদিন কয়েকজন শ্রমিক উক্ত স্থাপনাটি ভেঙ্গে ট্রাকযোগে কিছু মালামাল নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলার লাইসেন্স প্রাপ্ত ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই স্থাপনা ভাঙ্গা বা কাজের কোন টেন্ডার হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আরেক ঠিকাদার ও সদ্য বিলুপ্ত মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ সদস্য বদরুল ইসলাম বলেন, এটি ভাঙ্গা বা কাজের কোন কিছুই আমার জানা নেই, গতকাল সেখানে গিয়ে দেখেছি।

জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন- ইউএনও মহোদয় এই স্থাপনাটি ভেঙ্গে একটি গোল ঘর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য উনার তহবিল থেকে ৬ লাখ টাকা বরাদ্ধ করেছেন। কোটেশনের মাধ্যমে শরদেন্দু দাস শেখু কাজ পান। তিনি স্থাপনাটি ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে গেছেন। সেই মাল গুলো উদ্ধার করা হবে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস বলেন- লোকজন বসার সুবিধার্থে গোল ঘর বানানোর জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সেটি ভাঙ্গানো হয়েছে। সরকারি মালামাল কেহ নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। সেটা ফেরৎ দিতে হবে।

জানতে চাইলে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, এই স্থাপনাটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙ্গানো হচ্ছে, সেখানে হয়তো নতুন কিছু করতেও পারি। ইট সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন- আমি কি সেটা পাহারা দেব? সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জিজ্ঞাসা করুন, তারাই বলতে পারবে। সব দায়িত্ব তো ইউএনওর একার নয়।

উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা বলেন, শুনেছি ইউএনও কোথায় গোল ঘর করবেন। সেটা নিয়ে উপজেলার কোন সভায় আলোচনা হয়নি।

জুড়ীরসময়/বেলাল/এএ