জুড়ীতে অগ্নিকাণ্ড: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১কোটি ১০লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১কোটি ১০লাখ টাকা।

রোববার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নাইট চৌমুহনা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, জুুুুড়ী চৌমুহনীর করিম আলী নামের বস্তার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আর এন এন্টারপ্রাইজের দুটি দোকানসহ পাশের আরও ৪/৫ টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে দোকান ঘরগুলো পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এছাড়াও হাজ্বী নুর জলিল ভিলার ৬ তলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে জুড়ীরসময়ের কথা হয় হাজ্বী নুর জলিল ভিলার মালিক এডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন, আর এন এন্টারপ্রাইজের মালিক শরিফ উদ্দিন ও বস্তার দোকানের করিম আলীর সাথে।

এডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ৬তলা ভবণের তিন ও চার তলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ভবণের ১০টি ইউনিটের সবকটি রুমের দরজা-জানালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া ইলেকট্রনিকস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভবণের একপাশের ক্ষতি হয়েছে। ভবণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩০লক্ষ টাকা।

আর এন এন্টারপ্রাইজের মালিক শরিফ উদ্দিন বলেন, দু'টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চারজনে মিলে শেয়ারে দোকান দিয়েছি। দোকানে থাকা অকটেন, পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার মিলে আনুমানিক প্রায় ৫০লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বস্তার দোকানের করিম আলী বলেন, এশার নামাজ পড়ে এসে দেখি দোকানে আগুন। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে বুঝতে পারিনি। আগুনে গুদাম ঘরের বস্তাসহ প্লাস্টিক মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩০লক্ষ টাকা।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা জুড়ীর সময়কে বলেন, দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের কুলাউড়া, বড়লেখা ও রাজনগরের ৬ টি ইউনিট।

জুড়ীরসময়/এএ/এস