রমজানের ফজিলত, আদব ও সাধারণ নসিহত

Jurirsomoy

তৌহিদ আলম::

পবিত্র রমজান মাস একটি মহিমান্বিত মাস। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো রমজান। রমজান মাসের রোজা রাখা আমাদের উপর ফরজ যেমন আল্লাহ কুরাআনে বলেন, ياايها الذين  امنو كتب عليكم الصيام كما كتب علي الذين من قبلكم لعلكم تتقون

অর্থ: হে ইমানদারগন! তোমাদের উপর রোজা  ফরজ করা হয়েছে, যেমনই ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী (নবীগনের উপর), যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পার। (বাকারা ১৮৩)

অতএব, রোজা আমাদের উপর ফরজ।

নবী করিম (সা:) রুজা সম্পর্কে বলেছে عن ابي هريرة رضي قال قال رسول الله صلي من صام رماضان ايمان واحتسابا غفر له ماتقدم من ذنبه      অর্থ: যে ব্যাক্তি ইমান ইহতেসাব বা ইখলাস রোজা রাখবে তার আগের এবং পরের সকল গুনাহখাতা মাফ হয়ে যাবে। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

মূল কথা হলো ইমান, ইখলাস সহকারে রোজা রাখতে হবে।  এবং রোজার হক আদায় করে রোজা রাখতে হবে।

রমজান মাস সম্পর্কে আল্লাহ   আরেকটি আয়াতে বলেন, شهر رمضان الذي انزل فيه القران هدا لناس وبينات من الهدا والفرقان অর্থ:  রমজান মাস, এই  মাসেই কুরআন মাজিদ নাজিল করা হয়েছে, মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হক বাতিলের পার্থক্য তুলে ধরে। (বাকারা ১৮৫)

সূতরাং, আমরা এই মাসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করব (অর্থসহ)

এবং বেশি বেশি সুরা আর রাহমান পড়ব। কেননা, কিয়ামতের দিন দুই টা জিনিস নিজের জন্য সুপারিশ করতে পারবে,, একটা হলো কুরআন আরেকটা হলো রমজান।   

এই মাসের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে عن ابي هريرة رضي قال قال رسول الله صلي اتاكم رماضان شهر مباركا فرض الله عز وخل عليكم صيامه تفتح في ابواب السماء وتغلق في ابواب الجحيم وتغلق في مردة ا لشياطين  

অর্থ: হযরত আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত নবিজী (স:) বলেছেন তোমাদের নিকটতম রমজান একটি বরকতময় মাস এই মাসে আসমানের দরজাগুলি খুলে দেয়া হবে, এবং জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করা হবে, এবং বড় বড় শয়তান দের শিকল দিয়ে আটকে দেয়া হবে।(নাসাই, মুসনাদে আহমাদ) অতএব, এই মাসই আমলের মাস। জান্নাতের একটি দরজা আছে যার নাম রাইয়ান, এটা শুধু রুজাদারদের জন্য। রোজাদার ব্যাতিত আর কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। 

আবু সাইদ খুদরী (রা:) বলেন আমি নবি করিম (সা:) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি একটা রোজা রাখে আল্লাহ তার  মুখমণ্ডল হতে জাহান্নামের আগুন সত্তর বৎসর  দূরে রাখবেন। এবং রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লহর কাছে অনেক প্রিয়, এজন্য রোজার ফজিলত অনেক।

রমজান মাসে নবিজী (স:) যে বিষয় গুলি নিষেদ করেছেন :

নবি করিম (স:)এক হাদিসে বলেছেন, عن ابي هريرت رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى  من لم يدع قول الزور والعمل به فليس لله حاخة ايدع طعامه وشرابه-- متفق عليه                 
অর্থ: হযরত আবু-হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন নবি করিম বলেছেন, যে ব্যাক্তি মিথ্যা কথা বলে এবং তদানুযায়ী আমল করে, সে ব্যাক্তির পানাহার, খানাপিনা থেকে বিরত থাকা আল্লহর কোন প্রয়োজন নেই। (বুখারি মুসলিম)

অতএব, আমাদের প্রথম কথা আমাদের মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং গালিমন্দ, ঝগড়া,ফাসাদ বাদ দিতে হবে।

নবিজী (স:) আরেক বর্ণনায় বলেছেন,  فليقل اني امري صاءم- কেউ যদি ঝগড়া করতে আরোপ করে, তাহলে তুমি বলবে আমি রুজাদার। আমি তুমার সাথে ঝগড়া করতে পারব না। এজন্য আমরা যেন রুজার হক আদায় করে রুজা গুলা রাখতে পারি, আল্লাহ যেন তৌফিক দেন আমিন। 

লেখক: শিক্ষার্থী, নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এস