দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার উপায়


আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আসলেই কি সেটা কাজ করে নাকি আমরা শুধু নিজেদেরকে শান্তনাই দিয়ে থাকি।

দোয়া অনেক মূল্যবান জিনিস। দোয়ার মাধ্যমে বান্দা ও আল্লাহ্‌র মাঝে একটি সম্পর্ক যুক্ত থাকে। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কে মাফ করে দেন।আমরা পৃথিবীতে আসার আগে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কিছু জিনিস ঠিক করে রেখেছে।

যেমন:- আমরা কোথায় জন্মগ্রহন করবো, আমরা কোথায় মৃত্যুবরণ করবো। আমাদের চেহারা দেখতে কেমন হবে, আমাদের রিজিক কতটুকু পাবো, আমরা মানুষের সাথে কেমন আচরণ করবো, আমরা আমাদের ধর্মের কতটুকু মেনে চলবো ইত্যাদি।

ঠিক তেমনি দুনিয়ার জীবন হলো পরিক্ষার হল।

আল্লাহ্‌ আমাদের পরীক্ষা নিবেন, এবং আমরা কি কি পরিস্থিতিতে পরবো, এমন অনেক বিষয়ই আগে থেকেই আল্লাহ ঠিক করে রেখেছে।

আবার কিছু কিছু জিনিস আছে যা আল্লাহ ফায়সালা করে রেখেছেন, যদি আমরা আল্লাহর কাছে চাই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কে দিবেন। আর যদি না চাই আল্লাহ দিবেন না।

তাই আল্লাহর কাছে সবসময় চাইতে হবে।আল্লাহ বলেন:-তোমরা আমাকে ডাক,আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।(-সুরা মু’মিন ৪০-৬০-)। আল্লাহ তায়ালা আরেকটি জায়গায় বলেন:-“হে আদম সন্তান,তুমি যতদিন আমাকে ডাকবে ও আমার কাছে আশা করবে,তোমার পাপ যা-ই হোক না কেন,আমি তা ক্ষমা করে দিব,এতে আমার কোনো পরওয়া নেই।

হে বনী আদম,তোমার পাপ যদি আকাশের মেঘমালায় উপনীত হয়,এরপর তুমি যদি আমার কাছে ক্ষমা চাও,তবুও,আমি ক্ষমা করে দিবো, এতে আমার কোনো পরওয়া নেই।

তিরমিযীন শরীফের-৩৫৪০ নম্বর হাদীসে এসেছে:- হে বনী আদম, তুমি যদি পৃথিবী পরিমান পাপ নিয়েও আমার কাছে এসে উপস্থিত হও,আর আমার সঙ্গে যদি কিছুর শরীক না করে থাকো,তবে, আমি সেই পরিমান ক্ষমা ও মাগফিরাত তোমাকে দান করবো।

আল্লাহর কাছে সবসময় চাইতে হবে। আল্লাহর কাছে চাওয়াটাও একটা ইবাদাত। দোয়াকে ইবাদাতের রুহ বলা হয়েছে। এমনকি রাসূল (সঃ) বলেছেন:-”তোমরা তোমাদের সকল প্রয়োজন আল্লাহর কাছে চাইবে,এমনকি যদি জুতার ফিতা ছিড়ে যায় তাহলে তাও তাঁর কাছেই চাইবে।এমনকি লবণও তাঁর কাছেই চাইবে।”(সুনানে তিরমিযী, কিতাবুত দাওয়াত, নং ৩৯৭৩)

আমরা যে নামায পড়ি এই পুরো নামাজই দোয়া। আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌ এমন নয় যে সবকিছু সৃষ্টি করে ঘুমিয়ে পড়েছেন।বরং তিনি হচ্ছেন ‘হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম’ তিনি ঘুমান না এবং সবসময়েই আমাদের দেখছেন।

সুতরাং:- আমরা আল্লাহর কাছে সবসময় প্রয়োজন পুরনের জন্য চাইবো।তেমনি অন্যায় হয়ে গেলে ক্ষমা চাইবো। তিনি ২৪ ঘন্টাই আমাদের সাথে যুক্ত আছেন। তাই আল্লাহর সাথে সকল ক্ষেত্রে আমরা সম্পর্ক রাখবো দোয়ার মাধ্যমে।


”আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন”
 (-সূরা ত্বালাক:-৭)

”নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি”
(-সূরা ইনশিরাহ:-৬)

”জেনে রেখো,আল্লাহর সাহায্য নিকটে”
(-সূরা বাক্বারা:-২১৪)


 
লেখকঃ আকরাম হোসাইন,
‘ব্যবস্থাপনা সম্পাদক-দৈনিক খবরের ডাকঘর পত্রিকা’।

জুড়ীর সময়/ডেস্ক