কবিতাঃ ব্যস্ত


ব্যস্ত

 শফিকুল ইসলাম::

আমার ব্যস্ত দেশের ব্যস্ত জনগন

ব্যস্ত এ শহরে কে কারে করে মুল্যায়ন?

আজব দেশের ব্যস্ত নেতা ব্যস্ত জনগন।

ব্যস্ত আমার দেশের অলিগলি রাজপথ

ব্যস্ত চেনা-জানা অচেনা জনপদ।

রাত-দুপুরে রাজপথে মিছিল-মিটিং করে মানববন্ধন

দাবি আদায়ের লাগি এসব করেই ব্যস্ত জনগন।

তাদের পিছু পিছু ক্যামেরা মিডিয়া

খেয়ে না খেয়ে তারা আছে দাঁড়াইয়া,

ব্যস্ততায় সাংবাদিকরা থাকে সারাক্ষণ

আজব দেশের ব্যস্ত নেতা ব্যস্ত জনগন।

এটা করবো ওটা করবো নানান প্রতিশ্রুতি

ক্ষমতায় আসলে পরে পাল্টে যায় নীতি।

নিজের পকেট ভরতে ব্যস্ত থাকেন সারাক্ষণ

আমার আজব দেশের নেতা-নেত্রীগন।

টকশো নিয়ে ব্যস্ত থাকে বুদ্ধিজীবি যারা

মাঝে মাঝে স্বার্থের কাছে বিক্রি হয় যে তারা।

সকাল-সন্ধ্যা রাত-দুপুর ব্যস্ত টেলিভিশন

ব্যস্ত এ শহরে কে কারে করে মুল্যায়ন?

টেলিভিশনের সামনে চা’য়ের কাপ চুমুকে চুমুকে

সংসদটা ভাঙ্গা-গড়ায় জ্ঞানিরাই ব্যস্ত থাকে।

অহেতুক পন্ডশ্রমে ব্যস্ত কতজন

আজব দেশের ব্যস্ত নেতা ব্যস্ত জনগন।

নিরাপদ নয় এ ব্যস্ত রাস্তাঘাট

আশেপাশে থাকেই যেন কিছু বাস্টার্ড ।

ব্যস্ত এ নগরে প্রতিনিয়ত আমার মা-বোন হয় ধর্ষণ

বিচার চেয়ে পায়না বিচার যায় কোথায় তখন?

কালো আইন সাদা হয় টাকার জুরে

ধনিরা ধনি হয় আর গরিবরাই মরে।

ব্যস্ত এ দেশের এটি রুল নাকি এখন?

আজব দেশের ব্যস্ত নেতা ব্যস্ত জনগন।

মসজিদে গেলে পরে তাড়াহুরা করে

এই বুঝি ট্রেন তার যাবে এখন ছেড়ে।

আল্লাহর ধ্যানে থাকতে চায়না কিছুক্ষণ

আমার আজব দেশের ব্যস্ত জনগন ।

ব্যস্ত আমার দেশের নার্স আর ডাক্তার

রোগী বাঁচুক মরুক কি আসে যায় তার?

কম সময়ে বেশি রোগী দেখলে পকেট হয় গরম

আমার ব্যস্ত ডাক্তার ব্যস্ত জনগন।

আগে যাবে না পরে যাবে কে কার?

রেষারেষি করে নিয়ন্ত্রন হারায় কত ড্রাইবার।

ট্রাপিক ভাই কোথায় থাকে তখন?

দেশ পাহারায় আর মানুষ সেবায় ব্যস্ত প্রশাসন।

আমার আজব দেশের ব্যস্ত জনগন ।