নিজস্ব প্রতিবেদক::
বাংলাদেশ সীমান্তে পুশইন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (২৩ জুন) ভোরে এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার লাতু সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা, নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ৮ জন শিশু, ৪ জন নারী এবং ৪ জন পুরুষ রয়েছেন।
পুশইন হওয়া এসব ব্যক্তিকে সীমান্তবর্তী চা-বাগানে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা আটক করেন। পরে তাদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে ১২ জন রোহিঙ্গা এবং ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের লাতু বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকার একটি চা-বাগান থেকে তাদের আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, সোমবার ভোররাতে ভারতের একটি সীমান্ত ফটক দিয়ে তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় ৩৭৮জন বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। তার মধ্যে বড়লেখ উপজেলা দিয়ে ২৯২ জন, জুড়ী উপজেলা দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে ২১ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৫৫ জন। এছাড়াও আরও কয়েক শতাধিক লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করতে পারেনি।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইন করছে। সীমান্তে বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হলেও এই ধরণের ঘটনা থেমে নেই। জেলা প্রশাসন রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট শরনার্থী ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
তিনি আরো জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে আটককৃত ১৬ জনকে বিজিবির টহল দল সীমান্ত এলাকা থেকে ধরে আনে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এদের মধ্যে ১২ জন রোহিঙ্গা এবং ৪ জন বাংলাদেশি। যাচাই-বাছাই শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, বিজিবি ১৬ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশিদের তাদের পরিবারের কাছে এবং রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্ট দফতরে হস্তান্তর করা হবে।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন