আলেমদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে জুড়ীতে মানববন্ধন

আলেমদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে জুড়ীতে মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনফর আলীর বড় ছেলে আয়নুল হকের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাধারণ জনগণ ও তাওহীদি জনতার মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ৪ জুন আয়নুল হক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে তিনি শয়তানের ইমোজি ব্যবহার করে ক্যাপশনে লেখেন: “ইবলিস সহ সকল শয়তান একসাথে। আল্লাহর দিন ও ইসলামকে এই শয়তানদের হাত থেকে আল্লাহ হেফাজত করুন, আমিন।”

ওই ছবিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেমগণ পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা নগরীতে একত্রে অবস্থান করছেন। ছবিতে উপস্থিত ছিলেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমদুল্লাহ, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ ও টেকেরহাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারীসহ দেশের আরও বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান আলেম।

এই মন্তব্যের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই আয়নুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। কেউ কেউ তাওহীদি জনতাকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

এরই প্রতিবাদে বুধবার (১১ জুন) বাদ আসর জুড়ী নাইট চৌমুহনীতে সর্বস্তরের তাওহীদি জনতা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ডা. ফখরুদ্দীন পাঠান এবং সঞ্চালনা করেন সাজিদ মাহমুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মসজিদ মিশন জুড়ী উপজেলার সভাপতি মাওলানা মো. সামছুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন ইমাম শাখার সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা আব্দুল হান্নান, হাফেজ দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ও মোস্তাকিম আলী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আসিকুর রহমান, আব্দুস সত্তার, জহিরুল ইসলাম, সাইফুর রহমান, নাহিদ আহমেদ, খাইরুল আল আমিনসহ স্থানীয় শতাধিক মুসল্লী ও সাধারণ জনগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, "দেশের শীর্ষ আলেমদের নিয়ে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য শুধু আলেম সমাজ নয়, বরং গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতি চরম অবমাননার শামিল। আয়নুল হককে দ্রুত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তাওহীদি জনতা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।"

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ