নিজস্ব প্রতিবেদক::
শনিবার (০২ নভেম্বর) বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবাদুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার জহরত আদিব।
আজকের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালগুলো নিরাপদ নয় মন্তব্য করে মোঈদ ফারুক বলেন, যদি জানতাম এই দেশ এককালে রাজাকারের দেশ হয়ে যাবে তবে আমি মুক্তিযুদ্ধ না করে রাজাকার হয়ে যেতাম। কেন স্বাধীন দেশে শিক্ষার্থীরা রাজাকার স্লোগান দিবে।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আন্দোলন করা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নিয়ে তিনি বলেন, আগে কোন বৈষম্য ছিল না, তোমরাইতো বৈষম্য তৈরি করেছ। এখন এসেছে সমন্বয়ক, এই চ্যাংড়া পাংড়া টোকাই পোলাপান যদি দেশ চালায় তাহলে তোমরা লেখাপড়া করে কি করবে। আমি তোমাদেরকে বলবো যদি তোমরা কোনদিন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাও তবে কোন ছাত্র রাজনীতিতে জড়াবে না। প্রয়োজনে কোন আন্দোলন শুরু হলে তোমরা বাড়িতে চলে আসবে। আজকে ঢাকার মেয়েগুলো কি সভ্য নারী তোমরা নিজেরাই দেখো। এগুলো সভ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আমি পশ্চিমা দেশে পয়তাল্লিশ বৎসর ছিলাম কিন্তু এত অভদ্র ছাত্র ছাত্রী আমার জীবনেও দেখি নাই। আমাদের দেশ এটা ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে।
মোঈদ ফারুকের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জুড়ীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বক্তব্যের প্রতিবাদ করে এবং মোঈদ ফারুককে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে জুড়ীর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এম এ মোঈদ ফারুকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্যারিস্টার জহরত আদিব বলেন, আমাকে জানানো হয়েছিল তিনি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। আমি জানতাম না তিনি আওয়ামী লীগ নেতা। আর তার এরকম বক্তব্যে পুরো অনুষ্ঠানের সম্মান নষ্ট হয়ে গেল।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন