জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু!

জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে  দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু!


নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংক থেকে দুইজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।


সোমবার ১৭ (এপ্রিল) দুপুর ৩ টায় জুড়ী রেলওয়ে ষ্টেশন রোডে ফয়জুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়। তাদের লাশ উদ্ধার করেন কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।


নিহত দুইজনের নাম মোঃশাহিন (২২)ও কামরুল ইসলাম (২৬)  তাদের মধ্যে শাহিন জুড়ী উপজেলা পশ্চিম বড়ধামাই, আব্দুল খালিকের ছেলে। কামরুল একই উপজেলার মনতৈল এলাকার  মুক্তার আলীর ছেলে তারা দুইজন রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন।

 

স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার বেলা একটার দিকে বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংক কাজে করতে নামেন শাহিন। ট্যাকিংর ভিতরে গেলে বিশাক্ত গ্যাসে তাঁর অবস্থা গুরুতর দেখে সহায়তা করতে হাত দেন কামরুল ট্যাংকের ভেতরে পড়ে গিয়ে সেও মৃত্যবরন করেন। এসময় কাজে থাকা লোকজন স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। পরে জুড়ী উপজেলা পাশ্ববর্তী  কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বেলা ২ দিকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।


স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন তালুকদার বলেন, বেলা একটার  দিকে কাজে থাকা একজন শ্রমিকরা ট্যাংকে কাজে করতে নামে। শাহিনকে বাচাঁতে কামরুল ট্যাংকের ভেতরে পড়ে যান।


ঘটনার পরপরই কাজে থাকা ঠিকাদার ও শ্রমিকরা সবাই সটকে পড়েছেন। তবে ঠিকাদার বলেন ‘এটি আসলে মরমার্ন্তিক দূর্ঘটনা আমি এসে শুনেছি যে গন্ধ আছে কি না দেখতে একজনে আরেকজনের হাত ভর করে গর্তে নামেন সাথে সাথে সে পড়ে যায়।


এ বিষয়ে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের অফিসার শংকর রায় বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফায়েড, কার্বন–মনোক্সাইড গ্যাস হয়। বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে দুজনে মৃত্যু হতে পারে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি।


উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা: নিশাত জাহান সেফটির টাংকে পড়া দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে।


জুড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন সেফটির টাংকে পড়া দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।


জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন