জুড়ীতে বাহারি রকমের ইফতার সামগ্রীতে ভরপুর

জুড়ীতে বাহারি রকমের ইফতার সামগ্রীতে ভরপুর


নিজস্ব প্রতিবেদক::

চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। আর রমজান এলেই অবধারিতভাবে চলে আসে ইফতার প্রসঙ্গ। আর এ রমজান মাসেই মৌলভীবাজারের জুড়ীতে যেন এক অন্যরকম একটি প্রাণ ফিরে পায়। এখানে প্রতিটি রেস্টুরেন্টে নানান রকমের ও বেশি ধরনের  ইফতার আইটেম সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মানুষের উপচে পরা বিরে জমজমাট চলে বেচাকেনা।


এসব দোকানে চানা, পিয়াজু, বেগুনী, পোলাও, কাবাব, জিলাপী, শরবতসহ , আরো বিভিন্ন ধরনের আইটেম বিক্রি করা হচ্ছে। ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতার মিল বন্ধন, মুঘল আমলের বলে প্রসিদ্ধ নানান খাবার বিভিন্ন ধরনের মাংসের তৈরী কাবাব বাহারি, ফিন্নিসহ আরো নানান ধরনের মুখরোচক খাবার যেন মানুষের নজর কারছে।


প্রতিবারের ন্যায় এবার ইফতার তৈরির উপকরনের দাম বেড়েছে। তাই গতবছরের তুলনায় এবছর সবকিছুর দাম দ্বিগুন, কিন্তু তার পর ও জুড়ী বাজারের মানুষের সমাগম রিতীমত হৈ-হুল্লোড়িত।  কারণ প্লেটে এখানকার খাবার না তাকলে যেন মন ভরেনা। ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের রসনাবিলাশ নিয়ে বসে থাকেন ইফতার সামগ্রী বিক্রেতারা । শুধু মৌসুম ব্যবসায়ী না এই একটি মাস আরো অনেক মানুষ শুধু এই ইফতার আইটেমের বিক্রি করেন।


তারেকুল ইসলাম নামক এক ক্রেতা "জুড়ীরসময়" কে উনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আসলে বাজারের এই ঊর্ধ্বগতিময় দাম যদিও মানুষের জন্য বহন কষ্টকর, তবুও সবাই কিছু না কিছু বাড়ি নিয়ে ফিরছেন। আর প্রতিবারের মতো এবারও অনেক রকম ইফতার সামগ্রী দেখছি, ভালো লাগছে।


চৌমুহনী এলাকার, "মান্না এন্ড সালওয়া চাইনিজ বাংলা রেস্টুরেন্টের" স্বত্তাধিকারি আব্দুর রহমান জানান, আমরা চেষ্টা করি মফস্বলের সম্মানিত কাস্টমারদের স্বল্প মূল্যে  উন্নত  খাবার পরিবেশন করতে। রমাদানের এই মধ্যবর্তী সময়ে আমাদের রেস্টুরেন্টে ইফতারের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা ইফতারির আইটেম হিসেবে তৈরি করি, আলুর চপ, বেগুনি, হালিম, বিরানি, জিলাপিসহ  চিকেন তেহারি, বিফ তেহারি, ভূনা খিচুড়ি ইত্যাদি। প্রতিদিন আমাদের রেস্টুরেন্টে স্বল্পমূল্যে তেহারি সহ ইফতারি প্যাকেজ বিক্র‍য় করছি। আমরা বিভিন্ন ইফতার প্রোগ্রাম ও বিয়ে-শাদি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে থাকি।


জুড়ীরসময়/ইমন/হোসাইন