নিজস্ব প্রতিবেদক::
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এটি লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদি সারওয়ার ও বন্যপ্রাণী গবেষক হাসান আল রাজি চয়ন সেটি লাঠিটিলা বিটের লাঠিছড়ায় অবমুক্ত করেন।
ছবিঃ জুড়ীর সময়
পরিবেশকর্মী খোর্শেদ আলম জানান, সোমবার রাতে লোকালয়ে বের হওয়ায় কয়েকজন যুবক ডোমাবাড়ী গ্রামের একটি ছোট পাহাড় থেকে কচ্ছপটি ধরেন। কচ্ছপটি বিক্রি করে দেয়ার পায়তারা চলে।
তিনি জানান, হাছিব আহমদ নামের একটি ছেলে কচ্ছপটি তার কাছে হস্তান্তর করে। তিনি নিজের হেফাজতে নিয়ে দুইদিন কচ্ছপটি যত্নে রাখেন। পরে স্থানীয় বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরিকে জানান। ওনার নির্দেশনায় কচ্ছপটি বন বিভাগের সমন্বয়ে বনে অবমুক্ত করেন।
এই কচ্ছপ পাহাড়ি এলাকার চিরসবুজ বনে বাস করে। বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মিশ্র চিরসবুজ বনেই এদের বসবাস। এই কাছিম প্রজাতির বিস্তৃতি ভারত, নেপাল, চীন, মায়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশে।
বিশ্বব্যাপী এই প্রজাতির কাছিম সঙ্কটাপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনানুসারে রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকায় তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতি সংরক্ষিত। চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারতে এদেরকে পোষা প্রাণী হিসেবে পালন করা হয়।
জুড়ীরসময়/খোর্শেদ/হোসাইন