নিজস্ব প্রতিবেদক::
শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক গঠিত উপজেলা পর্যায়ে বাছাই কমিটি প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, নিষ্ঠা, সৃজনশীল প্রকাশনাসহ নানাবিধ বিষয় বিবেচনা করে তাঁকে উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষিক ঘোষণা করেন।
সেলিনা আক্তার শমশেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তিনি কমলগঞ্জ উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দেক আলীর একমাত্র মেয়ে। তাঁর স্বামী এ. কে.এম. শাহাবউদ্দিন (প্রদর্শক-ICT) পদে বিএএফ শাহিন কলেজ শমশেরনগর এর কলেজ শাখায় কর্মরত আছেন।
জানা যায়, সেলিনা আক্তার নিয়মিত শিক্ষক বাতায়নে প্রায় ৩০টিরও বেশি কনন্টেন্ট ও ভিডিও তৈরি করে শিক্ষক বাতায়নে মাধ্যমে আপলোড করেছেন। যার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়েছে। তিনি করোনাকালীন সময়ে ঝড়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন। তিনি স্কুলে শ্রেণি পাঠদানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ব্যবহার করে ক্লাস করান। পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য শ্রেণি পাঠদানের বাহিরে বিশেষ ক্লাস নিয়ে থাকেন। বৃত্তির শিক্ষার্থীদের আলাদা ভাবে ক্লাস করান। সাপ্তাহিক পাঠ মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়মিত নিয়ে থাকেন। শিক্ষাদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাঁর এই সফলতা প্রাপ্তিতে অগণিত শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আলাপকালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিক সেলিনা আক্তার বলেন, পরিশ্রম কোনো দিনই বৃথা যায় না। উপজেলা পর্যায়ে আমাকে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিক মনোনীত করায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ শিক্ষা বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। জেলা পর্যায়েও যেন সফলতা অর্জন করতে পারি সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে আলাপকালে শমশেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন; ৭ শত ছাত্র-ছাত্রী ও ১২ জন শিক্ষক রয়েছে আমাদের বিদ্যালয়ে। কমলগঞ্জ উপজেলার মধ্যে এ বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এ সময় তিনি আরও বলেন, "সেলিনা আক্তার সকাল সাড়ে ৮টায় স্কুলে উপস্থিত হয়ে ৯ টায় ক্লাস শুরুর আগে নিয়মিত ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের শপথ পাঠ করান। নিজের পরিবারের মতো বিদ্যালয়কে সাজিয়ে রাখেন। নিজের বাসা বাড়ির মতো স্কুলটা পরিষ্কার পরিছন্ন করে রাখেন। এমন শিক্ষক শ্রেষ্ঠ মনোনীত হয়েছে সেটা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য ভালো। আমরা দোয়া করি তিনি জেলা পর্যায়েও যেন সফলতা অর্জন করে আসতে পারেন।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন