মেয়ের জ্বর তিন দিন থেকে! বাবা খাইয়েছেন নাপা ট্যাবলেট



ইমরানুল ইসলাম:

ক্লাশ ফাইভে পড়ুয়া মেয়ে। গিয়ে দেখলাম কাঁদছে। তাঁর বাবা জানালেন গত পরশু (শনিবার) থেকে জ্বর, একবার একটি নাপা ট্যাবলেট খাইয়েছেন। ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে সবারই। তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিসিনের ব্যবস্থা করে দেয় টিম-১৫ (Team-15)।

সোমবার দুপুরে খোঁজ পেলাম ভূয়াই এলাকার বিচ্ছিন্ন হাকালুকি  উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আছে বন্যার্ত ৮টি পরিবার। টিম-১৫ এর মেম্বার হাসান আহমদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাইফুল ইসলাম,  আব্দুর রব শিমুল ও আশরাফ আলীসহ আমরা চললাম সেখানে। সাথে বিশুদ্ধ পানি, কেক, বিস্কুট, টোস্ট ও ব্রেড নিয়ে। আমাদের টার্গেট ছিল যাদের কাছে সহজে ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে না তাদেরকে নিয়ে। গিয়ে জানলামও তাই।

শুধুমাত্র গতকাল (রোববার) রাতে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন গিয়ে রান্না করা খাবার দিয়ে এসেছেন, আর কোনও সহযোগিতা তাঁরা পাননি। মানবেতর অবস্থায় আছেন তাঁরা। আমাদের পরিচয় জানতে চাইলে শুধুমাত্র জানালাম আমরা আপনাদের আপনজন। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দেয়া এ সামান্য সহায়তা হাতে পেয়ে তাদের আনন্দ না দেখলে বুঝতে পারবেন না।

আশ্রয় কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ীতে কোনোমতে টিকে আছেন সে বাড়ীর বাসিন্দারা। এরমধ্যে আরেকটি পরিবারকেও জায়গা দিয়েছেন। অন্যস্থানে একটি বাড়ীতে তিনটি পরিবার থাকে। একটি কাচাঘর ভেঙে গেছে। আরেকটি স্থানে সদ্য অপারেশন হওয়া একজন বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মেয়ে। বাড়ীতে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করতে পারছেন না। টিম-১৫ তাদেরকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা করার সুযোগ পেয়েছে।

নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন সবাই। হাকালুকি হাওর পাড়ের জায়ফরনগর ও পশ্চিম জুড়ীর অনেক এলাকার লোকজন তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্নভাবে যারা সহায়তা করছেন তাদের আল্লাহ উত্তম জাযা দান করুন।

লেখক: সম্পাদক,  

জুড়ীনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এএ