পারাবত ট্রেনে আগুনের সূত্রপাত পাওয়ার সার্ভিসের বগি থেকে



নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩টি বগি পুড়ে ছাঁই হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রেনের আরও ১২টি বগি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শনিবার দুপুর ১টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উসমানগড় এলাকায় ট্রেনের পাওয়ার সার্ভিসের বগি থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার পর থেকে সারা দেশের সাথে সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। শমসেরনগর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, চলন্ত ট্রেনের পাওয়ার সার্ভিসের বগি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার সাথে সাথেই চালক ট্রেন থামালে যাত্রীরা নেমে পড়েন। এসময় ট্রেনের ৩টি বগি পুড়ে যায়। আরও ১২টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার ইউনিট দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী জিল্লুর রহমান মাহিন বলেন, ট্রেনটি শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিমানবন্দর এলাকায় যাবার পর হঠাৎ আগুন লাগে। এসময় ট্রেন থামালে যাত্রীরা চতুর্দিকে নেমে পড়ে। সাথে সাথেই ট্রেনের ৩টি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আগুন ভয়ংকর রুপ ধারণ করে। ট্রেন না থামালে অনেক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হতো। আগুনের তীব্রতা অনেক বেশী থাকায় স্থানীয়রা আগুনের কাছে যেতে পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শমসেরনগর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার জামাল উদ্দিন বলেন, ট্রেনের ১০ নম্বর বগিটি ছিল পাওয়ার সার্ভিসের। এই বগি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পাওয়ার সার্ভিসের বগির সামনের ও পেছনের বগিসহ তিনটি বগি পুড়ে যায়। প্রথমে সামনের ৮টি বগি কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর পেছনের চারটি বগি শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে রাখা হয়। আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি বগি উদ্ধার করে রেলওয়ের উদ্ধারকারী দল। পরে পুড়ে যাওয়া ৩টি বগি সহ বাকী চারটি বগি কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। 

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট যৌথভাবে কাজ করে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের পাওয়ার সার্ভিসের বগি থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্ত করে আগুন লাগার সূত্রপাত ও সঠিক কারণ জানা যাবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পাওয়ার সার্ভিসের বগি থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এএ