আগুনে পুড়ে ছাই লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন!

আগুনে পুড়ে ছাই লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন!


নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা  সংরক্ষিত বনের দিলকুশ ও শুকনাছড়া  এলাকায় এক কিলোমিটারের উপরে বন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া বনের বিষয়টি জানেনা কর্তৃপক্ষ। আগুন লাগার ফলে  পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে।এটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।

জানা যায়, লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনটি ৫৬৩১.৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে  বিস্তৃত। লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের এ অংশে হতে  যাচ্ছে দেশের তৃতীয় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। কিন্তু প্রতিবছর এ বনের বিভিন্ন অংশে আগুন লাগলেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান ফটক, জড়িছড়া রাস্তার প্রবেশপথ ও শুকনাছড়া এলাকার এক কিলোমিটারের বেশি  এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী, বিরল প্রজাতির কীটপতঙ্গ এবং বেশ কিছু প্রজাতির বৃক্ষের ক্ষতি হয়েছে।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী রিকশাচালক আহ্সান উল্লাল বলেন, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে আমরা বনে আগুন দেখতে পাই। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় বনের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি বন বিভাগকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় নি। যার ফলে এখানকার বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণী সহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত সাফারি পার্ক এলাকায় বার বার পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে। আগুন দেখার পর আমরা স্থানীয়রা নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিট কর্মকর্তাকে দেখিনি।

এ বিষয়ে লাঠিটিলা বিট কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি শনিবার ১৯ মার্চ শুনেছি। এখনো জায়গাটি পরিদর্শন করিনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি বনে আগুন লাগার  বিষয়টি এখনও জানি না‌। যেহেতু সংরক্ষিত বন এলাকায় আগুন লেগেছে এতে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী সহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ,পাখির বাসার ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ