জুড়ীতে শিকারীর কাছ থেকে ২০ টি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত

জুড়ীতে শিকারীর কাছ থেকে ২০ টি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:: 

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় শিকারীর কাছ থেকে পাখি আটক করে অবমুক্ত করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার গোয়ালবাড়ী এলাকায় বিক্রিকালে পাখি গুলো উদ্ধার করা হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে উপজেলার গোয়ালবাড়ী এলাকায় পাখি শিকারী বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি নিয়ে বিক্রির জন্য ঘোরাফেরা করছিল।  খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাখিগুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এর আগে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে  শিকারি পাখির খাঁচা রেখে ফেলে পালিয়ে যায়। 

পরিবেশ কর্মী খোরশেদ আলম ও সাব্বির খান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আমরা বন বিভাগকে পাখি বিক্রির বিষয়টি অবগত করি এবং পরবর্তীতে বন বিভাগের সহায়তায় পাখিগুলো উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়। 

উদ্ধার করা পাখি গুলো হলো- টিটি পাখি ২ টি, জলমোরগ ২ টি, ছোট ডুবুরি ১ টি, বাবু বাটান ১ টি, ওটা পাখি ১১ টি অন্যান্য তিনটি সহ মোট ২০ টি  পাখি অবমুক্ত করা হয়। 

বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, গোয়ালবাড়ী এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় খাঁচাবন্দি ২০ টি  পাখি উদ্ধার করা হয়। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে জুড়ী নদীর পাড়ে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় তিনি বন্য প্রাণী ও জীবজন্তু  সংরক্ষণে  সকল জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরে সময়ে হাওরের বিভিন্ন জলাশয়ে পরিযায়ী পাখির সমাবেশ ঘটে। দূরদেশের অসহনীয় শীত থেকে বাঁচতে এসব পাখি হাকালুকি হাওরে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে স্থানীয় কিছু পাখিশিকারি কীটনাশক মেশানো খাবার খাইয়ে অথবা জাল দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে পাখি শিকার করেন। 

বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এরকম পাখি রক্ষায় সবাই মিলে কাজ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সাথে সাথে আমাদেরকে তথ্য দিলে আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা নিবো। 

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ