জুড়ীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জুড়ীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চাটেরা গ্রামের মাসুক আহমদ।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় মিনিষ্টার রেস্টুরেন্টে জুড়ী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাসুক আহমেদের পক্ষে তার ছেলে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুক আহমদ অভিযোগ করেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি চাটেরা গ্রামের মখদ্দস আলী একটি সংবাদ সম্মেলন করে‌ জায়ফরনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মনির ও আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি আমাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসে একটি মহল কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে তাহার নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এবং নিজের দোষ ঢাকার উদ্দেশ্যে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, মখদ্দস আলী ও তার দুই ছেলে লোকমান মিয়া ও সুলতান মিয়া সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে আমার একমাত্র আপন ভাই কালা মিয়া কে হত্যা করে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে  পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। পরবর্তীতে আদালতের আদেশে মখদ্দস আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। দীর্ঘদিন  সাজা ভোগ করে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশে  জেল থেকে বের হয়ে তার অপরাধ ঢাকতে বর্তমানে  আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমার ভাইকে হত্যা করার  মামলার জের ধরে আমার বসত বাড়ির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করলে আমি তাতে বাঁধা দেই। জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর মোকাদ্দেস আলী ও তার ছেলে লোকমান মিয়া, সুলতান মিয়া (বলাই), ইকবাল হোসেন (ছোট মনা)  আমার ওপর আক্রমণ করে আমাকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে ইকবাল হোসেন (ছোট মনা) আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা দা দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারার চেষ্টা করলে আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করি। এ সময়  দায়ের কোপে আমার বাম হাতের আঙ্গুল কেটে মাটিতে পড়ে যায়। এ সংক্রান্ত মামলা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মনির স্বাক্ষী হওয়ায় তাঁকে প্রাণে হত্যার জন্য বেশ কয়েকবার মখদ্দস আলীসহ সঙ্গীয় লোকজন আক্রমণ করে। তাঁকে বাঁচাতে তাঁর বয়স্ক মা এগিয়ে আসলে  প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে লোকমান মিয়া মাথায় আঘাত করলে তিনি হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ  সময় তাঁর হাত ভেঙে যায়। এসংক্রান্ত আরেকটি  মামলাটিও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে যার মামলা নং- সিআর ৭৩/২১। এ মামলা তদন্ত করে পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এ মামলায় লোকমান হোসেন আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। মখদ্দস আলী সহ তার লোকজন থানা পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রাখেন। মামলার প্রধান আসামি মখদ্দস আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (ছোট মনা) বিজ্ঞ আদালতে হাজির না হয়ে প্রকাশ্যে নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে সংবাদ সম্মেলনে তারা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ব্যাখ্যা দেয়।

এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে জাকির হোসেন মনির তাঁর জনপ্রিয়তায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনেও মখদ্দছ আলী তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তার অপর ভাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন। মখদ্দছ আলীসহ তার লোকজন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী, খুনি, দাঙ্গাবাজ, অত্যাচারী ও  ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে খ্যাত। তাদের দ্বারা এলাকার নিরীহ জনসাধারণ আতঙ্কিত। সংবাদ সম্মেলনে মখদ্দছ আলী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বক্তব্যের কোন সত্যতা ও বাস্তবতা নেই। কেবল তার নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ