চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ উদ্দিন বটল

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ উদ্দিন বটল


বিশেষ প্রতিবেদক::

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী- বড়লেখা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ উদ্দিন (বটল) আর নেই।

শনিবার ( ৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হাজী আপ্তাব আমিনা কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭ টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হসপিটালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং অনেকেই   সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক  প্রকাশ করছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসাদ উদ্দিন বটল অবিভক্ত বড়লেখা-জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড করায় তিনি মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। সততা, সাদাসিধা জীবনযাত্রা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে তিনি ছিলেন অনন্য। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে সাবেক এ  উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।

সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যানের জানাজায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি এমএম শাহীন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবেদ রেজা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ , সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ।

জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ধামাই গ্রামের বাসিন্দা আসাদ উদ্দিন বটল ১৯৭৩ সালে বিপুল ভোটে পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আরো ২ বার বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। একই বছর বড়লেখা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।  উন্নয়নের রুপকার এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭৮ সালে জাগো দলে যোগ দেন। বড়লেখা  উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পরে জুড়ী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষে বহির্বিশ্ব বিএনপি ফোরামের উপদেষ্টা ছিলেন।

১৯৯১ সালে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। শিক্ষানুরাগী বটল মিয়া পিতার নামানুসারে নিজ এলাকায় জামকান্দিতে "মনোহর আলী এম সাইফুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়" প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন ছাড়াও নয়াবাজার ষোলপনী ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। এছাড়া জুড়ী-বড়লেখার অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। রাজনীতি ও সমাজসেবার পাশাপাশি মহালদারী ব্যবসায়ও তিনি ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন।


জুড়ীরসময়/মনিরুল,সামছুল/এস