আবিদ হোসাইন::
জুড়ী উপজেলা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান শিশুপার্ক। যে স্থানটিতে খেলাধুলা থেকে জুড়ীর বিভিন্ন সাংগঠনিক অধিবেশন ও অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম করা হয়।
কিন্তু আজ এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দূষণীয় বর্জ্য। পুরো মাঠ ভর্তি ময়লা-আবর্জনায়র স্তুপ। অনেক সময় দুর্গন্ধের কারণে এ রোড দিয়ে চলাচলকারী মানুষ নাকমুখ কাপড় বা হাত দিয়ে চেপে ধরে চলাচল করেন।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, শিশু পার্কের মধ্যে রয়েছ শহীদ মিনার। এটিও এখন অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে। আশপাশের দোকানিরা ময়লা আবর্জনার স্তুপ করে রাখছেন। পাশ দিয়ে রয়েছে জুড়ী নদী। ধীরে ধীরে ময়লা-আবর্জনা গুলো নদীতে পড়ছে। এতে করে নদী তার নাব্যতা হারাচ্ছে। ময়লা আবর্জনা গিয়ে পড়ছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ হওয়ার হাকালুকিতে। এতে করে হাকালুকির জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার সচেতন মহলরা বলছেন, বিশেষ করে প্লাস্টিকের বস্তু গুলো পরিবেশেকে ভারসাম্যহীন করতে সর্বদা সক্ষম। এখানে রাখা প্লাস্টিক সহ অন্যান্য বর্জ্য থেকে দূষিত হচ্ছে পুরো মাঠ।
স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী জাকির হোসাইন বলেন, আশেপাশের দোকান গুলোর সমস্ত ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলা হয়। বিভিন্ন রকমের প্লাস্টিক বস্তু ও ফেলা হয়। কখনো কখনো গেটের সামনের ময়লার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ও আসে।
ব্যবসায়ী এখলাছ মিয়া বলেন, বাজারের অনেকেই রাতে দোকানপাট বন্ধ করার পূর্বে তাদের সব পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলে দেয়। তাতে দূষিত রূপ নিয়েছে মাঠের বিভিন্ন স্থান।
তিনি আরও বলেন, ময়লা গুলোর জন্য জায়গা টা দেখতেও খারাপ লাগে। কিন্তু বিষয়টি কেউ গুরুত্ব সহকারে দেখে না। যদি এখানে ময়লা ফেলা নিষিদ্ধ বা আইন পর্যায়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয় তাতে ভালো হবে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ময়লা ফেলার জন্য যদি নির্দিষ্ট কোন জায়গা আমাদেরকে দেয়া হতো তাহলে আমরা এখানে ফেলতাম। আমরা বাধ্য হয়ে এখানে ময়লা ফেলি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নেয়া উচিত।
জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রঞ্জিতা র্শম্মা জুড়ীরসময়কে বলেন, জাইকা প্রকল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হচ্ছে। জায়গাটি নির্ধারিত হলে সেখানে বর্জ্য ফেলা হবে। পাশাপাশি একটি গাড়িও কিনা হবে।
তিনি বলেন, উপজেলার প্রতিটি আইন-শৃঙ্খলা সভায় বাজার কমিটির সভাপতিদের এ বিষয়ে অবগত করা হয় যে যেখানে সেখানে যাতে ময়লা ফেলা না হয়।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ময়লা আবর্জনা কিভাবে পরিষ্কার করা যায় সে বিষয়টি দেখব।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এস