চোখ বুজলেই দেখি পলাশীর প্রান্তর

চোখ বুজলেই দেখি পলাশীর প্রান্তর
চৌধুরী শামসুল আরেফীন::

১৭৫৭ সাল চোখের সামনে আসলেই মনের কোনে ভেসে ওঠে পলাশীর রক্তাক্ত প্রান্তর। এই পলাশীতে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য নিঃসীম নীলিমায় হারিয়ে যায়। যে সূর্য পূণরায় বাংলার ভাগ্যাকাশে ফিরতে ২০০ বছরের প্রয়োজন হয়। সেই সাথে পাড়ি দিতে হয় রক্ত সাগর- খালি করতে হয় অসংখ্য মায়ের কোল। 

জুন মাসকে ঐতিহাসিক ভাবে স্মরণীয় করেছে দুটি বিষয়- তাদের একটি ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সংগঠিত পলাশীর যুদ্ধ, অন্যটি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা।

১৭৪০ সালে গিরিয়ার যুদ্ধে সরফরাজ খানকে পরাজিত ও নিহত করে আলীবর্দি খান বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব হন। আলীবর্দির রাজত্বকাল ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন নবাব স্বীয় যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা গুণে ১৭৪০ থেকে ১৭৫৬ পর্যন্ত ১৬ বছর নবাবি অক্ষুন্ন রেখেছিলেন। তবে আলীবর্দি খান ছিলেন পুত্র সন্তানহীন। তাই তাঁর জেষ্ট্য ভাই হাজী আহমদের তিন পুত্র নওয়াজিস আহমদ, সৈয়দ আহমদ ও জৈনুদ্দীন আহমদের সাথে যথাক্রমে তাঁর তিন মেয়ে ঘষেটি বেগম, ময়মনা বেগম ও আমিনা বেগমের বিয়ে হয়। শেষোক্ত জৈনুদ্দীন আহমদের ঔরসে আমিনা বেগমের গর্ভেই জন্ম হয় সিরাজের। জন্মের কয়েক বছর পর নবাব আলীবর্দি দত্তক হিসাবে সিরাজকে তাঁর কাছে নিয়ে আসেন। অত্যন্ত সুন্দর চেহারা, চরিত্র ও প্রখর মেধাবী সিরাজ সহজেই নানার নজর কাড়েন। সময়ের ব্যবধানে নবাব আলীবর্দি সিরাজকে তাঁর সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। 

১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দির মৃত্যু হলে সিরাজউদ্দৌলা বাংলার মসনদে আরোহন করেন। নবাবি গ্রহণের পর থেকেই প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের সাথে সাথে দেশীয় দালাল চক্রের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে থাকেন তিনি। ১৭৫৬ সালের এপ্রিল থেকে ১৭৫৭ সালের জুন পর্যন্ত মাত্র ১৪ মাস ক্ষমতায় ছিলেন সিরাজ। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা মুহূর্তও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেননি তিনি। কারণ তাঁর আপন খালা ঘষেটি বেগম ও অন্য খালাতো ভাই শওকত জং মসনদের মোহে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাছাড়া আলীবর্দির সৎবোন শাহ খানমকে মীরজাফর আলী খান বিবাহ করার কল্যাণে প্রথমে মাসিক ১০০ টাকা বেতনে চাকরিতে প্রবেশ করলেও পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে বখশীর পদে পদোন্নতি পান। আলীবর্দির জীবদ্দশাতেই মীরজাফর কয়েকবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে চাকরিচ্যুত হলেও আত্মীয়তার দোহাই আর আনুগত্যের ওয়াদায় তাকে পুনর্বহাল করা হয়। সিরাজের ক্ষমতা গ্রহণের পর তার ষড়যন্ত্রের জাল যেন আরো বিস্তৃত ও পরিপূর্ণ হয়। 

১৭৫৪ সালে নবাব আলীবর্দির অনুমতি ছাড়াই ব্যবসার নামে এদেশে আসা ইংরেজ বণিকরা প্রথম কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ তৈরীর কাজ শুরু করে। আলীবর্দি বিষয়টির দিকে নজর রাখলেও তখন কাছাকাছি সময়ের ব্যবধানে সিরাজের ভাই ইকরামুদ্দৌলা, নবাবের জামাতা নওয়াজিস মোহাম্মদ খান এবং আত্মীয় সাইদ আহমদ খানের মৃত্যুতে তিনি যথেষ্ট মানসিক বিপর্যস্ত ছিলেন। তাই তিনি এসময়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি। পরবর্তীতে সিরাজ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবার পর ইংরেজরা নতুন নবাবের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে কোন উপঢৌকন পাঠায়নি। আবার কলকাতায় দূর্গ নির্মাণ অব্যাহত রাখে। অন্যদিকে রাজবিদ্রোহী নবাবের রাজকোষ আত্মসাৎকারি কর্মচারী রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণদাস বল্লভকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে থাকে তারা। এতে নবাব ইংরেজদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কলকাতা দূর্গ দখল করেন।

ইংরেজ বেনিয়ারা এতে তেমন বিচলিত হয়নি। কারন নবাবের প্রসাদের অভ্যন্তরে ও বাহিরে থাকা শত্রুদের আঁতাত তাদের উচ্চাভিলাসি করে তুলে। যদিও তারা আরও পূর্ব থেকেই ক্ষমতা হাতে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। নবাবের দেয়া 'বিশ্ব ব্যাংকার' খেতাবধারী জগৎ শেঠ তার নিজ বাড়িতে গোপন বৈঠক করে সিরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করতে। উক্ত বৈঠকে ইংরেজ সর্দার ক্লাইভের প্রতিনিধি ওয়াটসনের সাথে ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করতে মীরজাফর, ইয়ার লতিফসহ সকল উচ্চপদস্থ হিন্দু রাজকর্মতা উমি চাঁদ, রায় দূর্লভ, রাজ বল্লব যোগ দেয়। সম্ভবত এসব হিন্দু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কল্যানে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে ইংরেজদের সখ্যতা গড়ে উঠে। গোঁড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ মুসলিম নবাবকে শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে ক্ষমতাচ্যুত করতে আগ্রহী হয়। নিমু গোস্বামী নামের এক হিন্দু ধর্মযাজক ১০০০ অনুসারীসহ ইংরেজদের সহযোগিতায় অংশ নেয়।

পলাশীর যুদ্ধে অংশ নেয়া ইংরেজ সেনা অফিসার মেজর করনেইলির ভাষ্যমতে- মাদ্রাজ ইংরেজ দূর্গ হতে ১২০০ ইংরেজ সৈন্য ও ২০০০ ভারতীয় হিন্দু সৈন্য নিয়ে তারা পলাশী যুদ্ধের জন্য সমুদ্রযাত্রা করে। তখন বর্ষাকাল তাই ভারতীয় সেনারা এই বর্ষায় সমুদ্রযাত্রা নাস্তি অর্থাৎ শাস্ত্রে নিষেধ বলে আপত্তি তুলে। তখন ইংরেজরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুরোহিত ডেকে পূজা অর্চনার ব্যবস্থা করে দেয়। পুরোহিতদের থলেতে ইংরেজদের টাকা ঢুকার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক শাস্ত্র পরিবর্তন হয়ে সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বৈধ্য হয়ে যায়। সেই সাথে ভিনদেশীদের সাথে মিশে দেশবিক্রিও শাস্ত্রে বৈধ্য হয়ে যায়। 

হয়তো এই সহযোগিতার কারণেই ২০০ বছরের ইংরেজ শাসনামলে মুসলিমরা বেশি নিগৃহীত ছিলো। 

ইংরেজ সেনাদল ২১ জুন নবাবের কাটোয়া দূর্গ দখল করে সামনে অগ্রসর হতে থাকে। ২২ জুন তারা পলাশীতে পৌঁছেই নবাবের বাগান বাড়ির দখল নেয় এবং আম্রকাননে ছাউনি স্থাপন করে। এদিকে তাদের মোকাবেলায় তরুণ নবাব গোলন্দাজ, পদাতিক ও অশ্বারোহিসহ মোট ৫০,০০০ সৈন্য প্রস্তুত করেন। অশ্বারোহী সেনাদলের নেতৃত্বে ছিলো মীরজাফর। যার সাথে ইংরেজদের চুক্তি হয়েছিলো সিরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলে তাকে নতুন নবাব করা হবে। সুতরাং যুদ্ধে অশ্বারোহী সৈন্যদের ভূমিকা কেমন হওয়ার কথা তা সহজেই অনুমেয়। অন্য দুই সেনাপতির মধ্যে মীরমদন ও মোহনলালের বীরত্বে ইংরেজরা পিছু হটতে থাকে। মেজর কারনেইলির ভাষ্যমতে- বিকাল তিনটার পর কামানের গোলার আঘাতে মীরমদন নিহত হবার পরপরই নবাবের বিশৃঙ্খল বাহিনী আরও বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। তারা থেমে থেমে কামানের গোলা বর্ষন করতে করতে একসময় থেমেই যায়। এবং সৈন্যরা ময়দান ছেড়ে কোন কারণ ছাড়াই শিবিরে ফিরতে শুরু করে। তখনই ক্লাইভ বাহিনী সুযোগ নেয়। পেছন থেকে কামানের গোলা ছোড়তে ছোড়তে তারা সামনে এগুতে থাকে। নবাবের সৈন্যরা তখন প্রতিরোধ না করেই পালাতে থাকে। অশ্বারোহীদের দিকে কোন গোলা ছোড়া হয়নি কারণ ওখানে মীরজাফর ছিলো। দেশীয় গাদ্দারদের কারণে নবাব সেদিন অর্ধ লক্ষ সৈন্য নিয়েও মাত্র ৩২০০ ইংরেজ সেনার মোকাবেলায় ব্যর্থ হন। 

মেজর কারনেইলির তথ্যানুসারে সন্ধ্যা ৬টায় ইংরেজ বাহিনীতে বিজয়ের সুর বেজে উঠে। অর্থাৎ প্রতিদিনের স্বাভাবিক সূর্যাস্তের সাথে এইদিন এদেশের স্বাধীনতার সূর্যও অস্তমিত হয়ে যায়। 

পরবর্তী ইতিহাস আরও করুণ। যুদ্ধক্ষেত্রে মোহনলাল ও মীরমদনের নিহত হবার খবর শুনে কিংকর্তব্যবিমুঢ় নবাব পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হন। এবং ১৭৫৭ সালের ৪ জুলাই মীরজাফরের পুত্র মীরনের নির্দেশে মোহাম্মদী বেগের হাতে জাফরাগঞ্জ প্রাসাদে বন্দী অবস্থায় তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। মেজর করনেইলি মন্তব্য করেছেন- এভাবে মোগল সম্রাট কর্তৃক একদল বিদেশিকে সশস্ত্র অবস্থানের অনুমতির খেসারত দেন সিরাজুউদ্দৌলা।

মীরজাফর ও ক্লাইভরা নবাবের লাশ নিয়ে কলকাতায় আনন্দ মিছিল করে। তখন সেদিনকার মূর্খ বাঙ্গালি নীরবে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করেছিলো শুধু। তাদের কথাছিলো- রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়েছে আমাদের কি করার আছে। তখন তারা কল্পনাও করতে পারেনি- যে তাদের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে।

ক্লাইভ তার আত্মজীবনীতে লিখেছে- সিরাজের পরাজয়, রাজকোষ লুন্ঠনসহ আমাদের সকল কীর্তি দেশের লোকজন দাঁড়িয়ে শুধুই দেখেছে। তখন যদি তারা সবাই একত্রে আমাদের দিকে শুধু একটি করে ঢিল ছুঁড়তো, তবে আমাদের পালিয়ে জীবন রক্ষা করতে হতো।

প্রকৃতপক্ষে ২৬৪ বছর পূর্বে ১৭৫৭ সালের ৬ জুন বাঙালি যেভাবে নীরব দাঁড়িয়ে ছিলো, আজ ২০২১ সালেও তারা সেভাবে দাঁড়ানো। তাদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা ও সচেতনতা বোধ কতোটা আছে তা সহজেই অনুমেয়। 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই পলাশীতেই স্বাধীনতা কবর দেখতে পেয়েছেন। অন্যদিকে কবি নবীন চন্দ্র সেন তাঁর "পলাশীর যুদ্ধ" কাব্যে ইংরেজ বেনিয়াদের জয়গান গেয়েছেন। আর কলঙ্ক দিয়েছেন দেশপ্রেমিক নবাবের চরিত্রে। তাই অক্ষয় কুমার মৈত্র আক্ষেপ করে বলেছেন- "সেকালের ইংরেজ বাঙালী মিলিত হয়ে সিরাজের নামে কতো অলিক কলঙ্ক রটনা করে গেছে, তা ইতিহাসে অজানা নয়। অবসর পেলে একালের তথাকথিত সাহিত্যিকগণ এখনো কতো নতুন নতুন রচনা কৌশলের পরিচয় প্রদান করতে পারেন "পলাশীর যুদ্ধ" কাব্যই এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ। যা সেকালের লোকজন জানতো না, সিরাজের শত্রুদল কল্পনা করার সাহসও পেতো না। একালের সাহিত্যিকরা তার অভাব পূরণ করতে দ্বিধা করছেন না। যে দেশের কবি ইতিহাস লেখার ভার গ্রহণ করেন। সেদেশে সিরাজের মতো চরিত্রে দাগ দেয়াই স্বাভাবিক। এতে বিষ্ময়ের কিছু নেই।"

স্যার জে এন সরকার বলেছেন- "পলাশীর প্রন্তরে নবাবের পরাজয়ের মাধ্যমে ভারতবর্ষে মধ্যযুগের অবসান হয়ে আধুনিক যুগের সূচনা হয়।"

বাংলার শিল্পের কাঁচামাল দিয়ে ইউরোপে শিল্প বিপ্লব করা। এদেশের চাষিদের জোর করে ধানের পরিবর্তে নীলচাষে বাধ্য করা। এবং গোটা ভারতবর্ষে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে দিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা। সূর্যাস্ত আইনের মাধ্যমে শতশত জমিদারকে ভিখারি করা। স্বাধীনতাকামি জনতার রক্ত নিয়ে হোলি খেলা ও গণহারে সাধারণ মানুষকে ফাঁসি দেয়া যদি হয় জে এন সরকারের কাছে আধুনিকতা, তাহলে শোষন আর পরাধীনতা বলবো কাকে? এসব লোকের ক্ষেত্রে কোন বিশেষন প্রযোজ্য, জ্ঞান পাপী না-কি ইতিহাস বিকৃতকারী তা আমার বুঝে আসে না।
 
সদ্য প্রকাশিত পলাশীর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী ইংরেজ সেনা অফিসার মেজর জন কারনেইলির বইটি অধ্যয়ন করলে সহজেই অনুমান করা যায়- সেদিন দেশপ্রেমিক নবাব সিরাজউদ্দৌলার সরল মনে সবাইকে বিশ্বাস করা ও উদার মানসিকতা ছিলো বড় অপরাধ। দেশীয় বেইমান চক্রই পরাধীনতার শৃঙ্খল জাতিকে পরিয়ে দিয়েছিলো। 

পরিশেষে বলতে চাই আর কোন পলাশী নয়, পলাশী থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাই সমভাবে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হই, গড়ি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। চোখ খুললেই যেন দেখতে পাই সুন্দর বসুন্ধরা। 

তথ্য নির্দেশ-

✪ পলাশীর এক ইংরেজ সৈনিকের কালপঞ্জি- সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। প্রথমা প্রকাশন

✪ সিরাজউদ্দৌলা থেকে শেখ মুজিব- কে এম ফিরোজ খান। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি
 
✪ ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক উন্নয়ন- দিকদর্শন প্রকাশনি।

✪ উপমহাদেশের ইতিহাস- নিউ মস্তফা প্রকাশনি।

✪ পলাশীর প্রান্তরে- আব্দুল হাই শিকদার (ছাত্রসংবাদ জুন ২০০৭)।

✪ ছাত্রসংবাদ জুন ২০০৩।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এস