মাথাব্যথা নাকি ব্রেইন ক্যান্সার?

লাইফস্টাইল ডেস্ক::

ব্রেইন ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ হতে পারে মাথা ব্যথা। তবে সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে অনেকেই আমরা এড়িয়ে যায় বিষয়টিকে। ফলে দেরি হয়ে যায়, প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা যায় না ক্যান্সারের বিষয়টি। এজন্যই দীর্ঘদিন ধরে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকলে হেলাফেলা না করে বরং দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া।

শিশুদের ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্রেন ক্যান্সার হতে পারে। শিশুদের যেসব ক্যান্সার হয়, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মস্তিষ্কে ক্যান্সার। সাড়ে ছয় বছরের শিশুদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সারের হার বেশি। এ ছাড়াও মেয়ে শিশুদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই শিশুরা মাথাব্যথার কথা বললে, তা কখনো উপেক্ষা করবেন না।

ব্রেন ক্যান্সার কী? ভারতীয় নিউরোলজিস্ট ডা. আয়ুশ পান্ডের মতে, ব্রেন ক্যান্সার হলো কোষগুলোর একটি অনিয়ন্ত্রিত বিভাগ। যার ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। সব ব্রেন টিউমার ব্রেন ক্যান্সারে বর্ধিত হয় না।

ব্রেন ক্যান্সার দুই ধরনের হতে পারে- বিনাইন (ক্যান্সারবিহীন) এটি নিম্ন শ্রেণির চিকিৎসার পর সেরে যায়। অন্যটি হলো মালিগন্যান্ট (ক্যান্সারযুক্ত) এটি উচ্চ শ্রেণির। মস্তিষ্কের মধ্যে সৃষ্ট হয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মস্তিষ্কে ছড়িয়ে যায়। তবে ব্রেন ক্যান্সারের স্থান এবং বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করে স্নায়বিক পদ্ধতির ক্রিয়ার ওপর।

মাথা ব্যথা ছাড়াও ব্রেন ক্যান্সার হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়- একেকজনের ক্ষেত্রে ভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়। এটি নির্ভর করে মস্তিষ্কের যতটা অংশ প্রভাবিত হয়েছে তার ওপর।

১. প্রায়ই ব্রেন ক্যানসারের প্রথম উপসর্গ হয়, এবং হালকা, তীব্র, স্থির অথবা থেমে-থেমে হতে পারে

২. কথা বলতে অসুবিধা হবে

৩. খিঁচুনি

৪. বমি বমি ভাব, ঝিমুনি এবং বমি

৫. শরীরের একপাশে দুর্বলতা অথবা অসাড়তা ক্রমাগত বাড়া

৬. শব্দগুলি মনে রাখার অসুবিধার মত মানসিক সমস্যা

৭. ভারসাম্য হারানো

৮. দৃষ্টি, শ্রবণ, গন্ধ অথবা স্বাদ নষ্ট হওয়া

৯. পা ফুলে যাওয়া

১০. শরীরের আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ইত্যাদি

ব্রেন ক্যান্সার যে কারণে হতে পারে- যদিও ব্রেন ক্যান্সারের কারণগুলো অজানা এবং অনির্দিষ্ট। তবে বেশ কিছু ঝুঁকির বিষয় ব্রেন ক্যান্সারের সঙ্গে যুক্ত থাকে

যেমন-

১. বয়সের সঙ্গে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

২. ক্যান্সারের পূর্ববর্তী ইতিহাস আছে এমন শিশুদের মধ্যে পরের জীবনে ব্রেন ক্যান্সার বাড়ার একটি সর্বাধিক ঝুঁকি রাখে।

৩. লিউকিমিয়ার রোগীদের ব্রেন ক্যান্সার বৃদ্ধি পাওয়ার সর্বাধিক ঝুঁকি আছে।

৪. কিছু জন্মগত ত্রুটির কারণেও ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এস