জুড়ীতে গুড়িয়ে দেয়া হলো আরও ১৮ টি অবৈধ স্থাপনা

জুড়ীরসময়

নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় জুড়ী নদীর পাড়ে আরও ১৮ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। 

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের  উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসন মৌলভীবাজারের সার্বিক সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিষয়টি জুড়ীরসময়কে নিশ্চিত করেছেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-ইমরান রুহুল ইসলাম।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অর্ণব মালাকারের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-ইমরান রুহুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), মৌলভীবাজারের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আল-আমিন এবং জরিপকারকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, যারা জুড়ী নদীর দু’পার দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। নদীর পার দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা দখলদারদের কোনক্রমেই ছাড় দেওয়া হবে না। নদীর সরকারি জায়গা উদ্ধারের পাশাপাশি কেউ যাতে পুনঃদখল করতে না পারে আমরা সেদিকে কঠোর নজর রাখব। আজকের অভিযানে  ১৮ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, দখলদারদের নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি স্থাপনা সরিয়ে না ফেলে তাহলে আমরা আবারও  উচ্ছেদ অভিযানে নামবো। 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারী দিনভর চলা দুই দিনের অভিযানে ছোট বড় ৮০টি বিল্ডিং গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসব অভিযানে ১০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারত থেকে নেমে আসা জুড়ী নদীর দু’পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা । নদীর দু’পাশের জায়গা দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তৈরি করে বেদখল করে রেখেছিল দখলদাররা। এতে নদীর দু’পাশ ভরাট হয়ে নদীটি পরিণত হয়েছে খালে। অবৈধস্থাপনা গুলো উচ্ছেদের জন্য অনেকবার দখলদারদেরকে নোটিশ দেওয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি দখলদাররা।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এস