অপহরণ করে সাজানো ধর্ষণ মামলার আসামী শ্রমিক নেতা আলিম

সাজানো ধর্ষণ মামলার আসামী শ্রমিক নেতা আলিম

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

অপহরণ করে শ্রমিক নেতা আব্দুল আলিমের বিরোদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা ও স্বামী মোজাহিদ মিয়ার বিরোদ্ধে নির্যাতনের মামলা এবং মিথ্যা অপবাদে সংবাদ সম্মেলন করানোর প্রতিবাদে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী আফরিন আক্তার আখিঁ নামের এক মহিলা।

সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন স্বামী মোজাহিদ মিয়া, শিশুপুত্র মোঃ নাজিব মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর  বিকাশ থেকে টাকা উঠানোর জন্য বাড়ি থেকে শহরের উদ্দেশ্যে বের হলে সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের (২৩৫৯) সভাপতি মোঃ পাবেল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিমের লোকেরা তাকে ও তার দেড় বছরের ছোট ছেলে মোঃ নাজিবের গলায় ছুরি ধরে জোরপূর্বকভাবে তুলে নিয়ে যায়। পাবেল তার বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করে  শ্রমিক নেতা আব্দুল আলিমের বিরোদ্ধে ধর্ষণ মামলা (নং- ১৮০/২০২০) ও স্বামী মোজাহিদ মিয়ার বিরোদ্ধে নির্যাতনের মামলা (নং- ১৮৪/২০২০) করায়। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরোও বলেন, মামলা করার পরদিন  পাবেল মিয়া, আজিজুল হক সেলিম, স্বপন, দিলু মিয়া ও তার সহযোগীরা বলে আব্দুল আলিম আমাদের চির শত্রু। তার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য তুই সংবাদ সম্মেলন করতে হবে। এসময় আজিজুল হক সেলিম পিস্তল দেখিয়ে বলে সংবাদ সম্মেলন না করলে তর সন্তানকে আমরা মেরে ফেলবো। পরে বাধ্য হয়ে গত ১৪ অক্টোবর ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে নয়াব্রীজ টু কুসুমবাগ ২৩৫৯ এর গ্রুপ কমিটির সভাপতি গুলজার মিয়া তার পাশে ছিলেন এবং তাকে ভয়ভীতি দেখান।

লিখিত বক্তব্যে আফরিন আক্তার আরোও বলেন, আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী রুলি আক্তার গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাবেল মিয়া, স্বপন মিয়া ও বন মিয়াকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দনম ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা (মামলা নং-১৬৪/২০২০) করেন। এই মামলা করার কারণে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে অপহরণ করে ধর্ষণ মামলা ধামাচাঁপা ও বাঁচার জন্য এবং আমার স্বামীকে সমাজে তার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য এই ঘটনাটি ঘটায়।

লিখিত বক্তব্যে আরোও বলেন, তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে স্বামীর সাথে গোপনে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। ঐ ফোনালাপ তার স্বামী মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় অপহরণ মামলা করতে গেলে থানার ওসি মামলা নেননি। পরে ১৯ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমল আদালতে পাবেল মিয়া, স্বপন মিয়ার নাম উল্লেখ সহ আরোও ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি অপহরণ মামলা (মামলা নং- সিআর-৪০৭/২০২০) করেন।                                                                          

লিখিত বক্তব্যে আখিঁ বলেন, স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলায় অজ্ঞাত স্থান থেকে পাবেল তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে তাকে নির্যাতন করে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি নিজেকে রক্ষা করেন। পরদিন ২২ অক্টোবর পাবেল মিয়া ও আজিজুল হক সেলিম এবং তাদের সহযোগীরা দুইটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বলে এখন তর কাজ শেষ। তর মামলা আমরা দেখব। তুই এখন তর বাপের বাড়ি ঢাকায় চলে যা। পরে তারা তাকে শেরপুর থেকে এনা গাড়িতে তুলে দেয়। এনা গাড়িতে উঠে তিনি স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে র‌্যাব-৯ মাধ্যমে উদ্ধার হন। পরবর্তীতে র‌্যাব তাকে মৌলভীবাজার মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক