নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিষমিশ্রিত ধান খেয়ে এক খামারির হাঁসের খামারের ৩৩৫টি হাঁস মারা গেছে। খামারে দেশি প্রজাতির প্রায় ৫০০ হাঁস ছিল। এর মধ্যে কিছু নিয়মিত ডিম দিত এবং কিছু হাস সম্প্রতি ডিম পাড়া শুরু করার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের খামারি চেরাগ আলী। প্রায় ১৪ বছর ধরে হাঁস পালন করছেন তিনি। প্রতিদিনের মতো সকালে তিনি হাঁসগুলোকে গ্রামের পাশের জলাবদ্ধ জায়গায় ছেড়ে রেখে বোরো ধানের বীজতলার কাজে যান। বিকেলে ফিরে এসে দেখেন পানিতে ভাসছে অসংখ্য মৃত হাঁস।
এলাকাটি ‘গোবিন্দপুরের জাওর’ নামে পরিচিত। শুষ্ক মৌসুমে এখানে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে মাছ ধরার জন্য ইজারা দেওয়া হয়। এ বছর স্থানীয় মফিজ আলীসহ কয়েকজন এই জলাশয় ইজারা নিয়েছেন।
চেরাগ আলী জানান, জমির ধারে ছড়ানো ধানের দানা দেখে তাঁর সন্দেহ হয়, হাঁসগুলো বিষমেশানো ধান খেয়েই মারা গেছে। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় সেদিন সব হাঁস তুলতে পারেননি। বাড়িতে আনার পর আরও কয়েকটি হাঁস অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি তেঁতুলের রস খাইয়ে সেগুলো বাঁচানোর চেষ্টা করেন। চেরাগ আলীর হিসাব অনুযায়ী, তাঁর ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা।
প্রতিবেশী ফয়জুর রহমান, আবদুস সামাদসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শীতের শুরুতে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন জলাশয়ে পরিযায়ী পাখি এলেও গোবিন্দপুর জাওরে সাধারণত পাখি দেখা যায় না। তাঁদের ধারণা পাখি নয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই হাঁস নিধনের উদ্দেশ্যে বিষ ছড়ানো হয়েছে। তাঁরা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
ইজারাদার মফিজ আলী দাবি করেন, তাঁরা কয়েকদিন ধরে অন্য বিলে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত, ঘটনাটি সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা নেই।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে যাচাই-বাছাই শেষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন
