বিশেষ প্রতিবেদক::
বিশ্ব ব্যাংকের ১ হাজার ৫০২ কোটি টাকার ‘সুফল প্রকল্প’ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন নিয়ে ঠিকাদারদের কাজ প্রদান করেছেন এবং ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে বন কর্মকর্তাদের বদলি ও পোস্টিং করিয়েছেন এমন অভিযোগ সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।
সাবেক বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রী থাকাকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বদলির বাণিজ্য করে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ০৫ বছর মেয়াদি ১ হাজার ৫০২ কোটি টাকার 'সুফল প্রকল্প'টিতে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
তার কথিত দুর্নীতির বিবরণ দিয়ে দুদক লিখেছে, মন্ত্রী ও তার ছেলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে 'সুফল প্রকল্পে' ১০ শতাংশ কমিশন দিয়ে ঠিকাদারদের কাজ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন খাতে মিথ্যা খরচ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ৮০-৯০ লাখ টাকার ঘুষের বিনিময়ে বন কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করেছেন বলেও জানিয়েছে দুদক।
এছাড়াও, পরিবেশ দূষণে মারাত্মক প্রভাব রয়েছে এরূপ তরল বর্জ্য সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কল-কারখানায় ইটিপি পরিদর্শন না করেই তারা সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুদকের তদন্তে সংস্থাটি আরও জানতে পারে, শাহাব উদ্দিন প্রায় ৭ কোটি টাকার বিনিময়ে বিএফডিআইসির তৎকালীন চেয়ারম্যানকে জমির বিনিময়ে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন দশম জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মৌলভীবাজার-১ (জুড়ী-বড়লেখা) আসন থেকে সপ্তম, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/জামান