যে এলাকায় কখনোই পানি আসেনি, সেই এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে

যে এলাকায় কখনোই পানি আসেনি, সেই এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টানা ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে আকষ্মিক বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

❝উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, আমরা নিজেরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। যে এলাকাগুলোতে কোনদিন পানি আসেনি সেই এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে।❞

বুধবার রাতে কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। অপরদিকে মনু নদীর টিলাগাঁও প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।মনু নদীর ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, আমরা নিজেরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। যে এলাকাগুলোতে কোনদিন পানি আসেনি সেই এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, রাজনগর উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সঠিকভাবে নিরুপন করা যাচ্ছে না। কারণ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে গতকাল পর্যন্ত ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ছিল। আজ আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার আপডেট অনুযায়ী জেলার মনু নদী (রেলওয়ে ব্রীজ) বিপদসীমার ১০৫ সে.মি, চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৫ সে.মি, ধলাই নদীতে ৩২ সে.মি ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৯০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, মনু ও ধলাই নদীতে পানি কমেছে। রাতে মনু নদীর উজানে ভাঙন দিয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন