আমি কোনো গুন্ডা পালি না: কিশোর রায় চৌধুরী মনি

আমি কোনো গুন্ডা পালি না: কিশোর রায় চৌধুরী মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো: আলী হোসেন সকাল ১১ টার দিকে বের হোন গণসংযোগে। এসময় বাছিরপুর এলাকায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাপ পিরিচ প্রতীকের কিশোর রায় চৌধুরী মনির কর্মীর হামলায় আহত হন আলী হোসেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয় বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ।

ঘটনার পর আহতাবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় আলী হোসেনকে। সেখানে তাকে দেখতে যান চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি। সেখানে দু'জনের কথা-কাটাকাটি হয়। তখন কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, "আমি কোনো গুন্ডা পালি না। গুন্ডা পালার ক্ষমতাও আমার নাই" এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।

এবিষয়ে আহত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলী হোসেন বলেন, আমি নির্বাচনে আসার পর থেকে কিশোর রায় চৌধুরী মনি'র কর্মীরা আমাকে এবং আমার বাবাকে বার বার বলেছেন মনোনয়ন বাতিল করতে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। আজ সকালে আমি গণসংযোগে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হই, এসময় জুড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে আসার আগেই আনফর আলী চেয়ারম্যান এর ছেলে সাইদুর, মুহিব, সুহেল আমাকে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে, পরে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এখন আমি ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছি।

অভিযুক্ত সাইদুর রহমান এর পিতা পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনফর আলীর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে কাকে মেরেছে? এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।

অভিযোগের বিষয়ে কিশোর রায় চৌধুরী মনির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সাথে সংঘর্ষে যাওয়ার মতো মন মানসিকতা আমার নেই। আমি সকাল থেকে গণসংযোগ ছিলাম। ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং আহত মোঃ আলী হোসেনকে আমি হসপিটালে দেখতেও গিয়েছি। পরবর্তীতে আমি আনফর আলী চেয়ারম্যান ও সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। সম্পূর্ণ ঘটনাটি একটি মিথ্যা  সাজানো নাটক। 

জুড়ী থানার তদন্ত ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ইতিমধ্যে উনারা মামলা করেছেন। এখন তদন্ত হবে। মামলা নাম্বার এখনও পড়েনি।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন