জুড়ীতে মামলা নিতে ঘুষ চাইলেন পুলিশ সদস্য


নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৌলভীবাজারের জুড়ী থানার এ এস আই মহিউদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা না দেওয়ায় মামলা রেকর্ড না করার অভিযোগ উঠেছে। 

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এই অভিযোগে জুড়ী উপজেলার এম এ মুমিত আসুক চত্ত্বরে সড়ক অবরোধ করে সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। 

জুড়ী উপজেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি খুরশীদ আলম গাজীসহ শ্রমিকরা জানান, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সিএনজি দক্ষিণভাগ সিএনজি স্ট্যান্ডের দুই সিএনজিচালক শহিদুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম তাদের গাড়ী জাঙ্গিরাই এলাকায় রেখে হাকালুকি হাওরে ধান কাটা শ্রমিকদের আনতে যান। সেখানে থাকা সিএনজি মর্তুজ মিয়ার ছেলেরাসহ কয়েকজন মিলে ভাংচুর করে। সিএনজি ভাঙ্গার কথা বলায় মর্তুজ মিয়া সহ কয়েকজন মিলে আবার চালকদের মারধর করে। পরে এলাকার মানুষ ও সিএনজি শ্রমিকরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে। এঘটনায় থানায় মামলা করতে জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেনের কাছে যান শ্রমিকরা। ওসি মামলার জন্য এ এস আই মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এ এস আই মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে রাতে শ্রমিকরা ৫ হাজার টাকা দেন। 

বুধবার সকালে শ্রমিকরা আবারও থানায় এ এস আই মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওসি স্যার মামলা গ্রহণের জন্য ২০ হাজার টাকা দিতে বলেছেন।  এরপর এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ না করায় ও ঘুষ দাবি করায় দুপুরে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করেন। এসময় তারা এ এস আই মহিউদ্দিনের প্রত্যাহার দাবি করেন। অবরোধ চলাকালীন সময়ে জুড়ী থানার তদন্ত ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করেন এবং মর্তুজ আলীকে আটক করেন। এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। পরে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। এদিকে জুড়ী থানা থেকে এ এস আই মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার না করলে শ্রমিকরা আবারও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত এ এস আই মহিউদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাটি সম্পর্কে জানি না। আর টাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘুষের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে শ্রমিকরা অবরোধ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখান থেকে আটক করা মর্তুজ আলীকে তার অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এএ