লাঠিটিলার বনে আবরণযুক্ত বিদ্যুৎ তার সংযোজন করার দাবি

 

লাঠিটিলার বনে আবরণযুক্ত বিদ্যুৎ তার সংযোজন করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় দিন দিন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বানরের মৃত্যু হচ্ছে। ফলে হুমকিতে এ অঞ্চলের বন্যপ্রাণী। লাঠিটিলার বন্যপ্রাণী রক্ষায় বিদ্যমান আবরণ বিহীন খোলা বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে রাবার মোড়ানো কিংবা অন্য কোন বিদ্যুৎ অপরিবাহী মাধ্যমের আবরণযুক্ত তার সংযোজন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী।


রবিবার ( ১৯ শে ফেব্রুয়ারী ) শ্রীমঙ্গল আওতাধীন সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে লিখিত স্মারকলিপি পাঠান।


স্মারকলিপিতে বলেন, লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অভ্যন্তরসহ আশ-পাশের বিদ্যুতায়িত এলাকায় বর্তমান ১১ হাজার কেডি হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনে কোন আবরণ না থাকায় প্রায় দু'এক মাস অন্তর অন্তরই দু একটি করে মূল্যাবান বিরল প্রজাতির স্তন্যপায়ী বন্যপ্রানী যেমন- মুখপোড়া হনুমান, চশমাপড়া হনুমান, লজ্জাবতী বানর ইত্যাদি বনাঞ্চল ও ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বিচরনের সময় বৈদ্যুতিক তারে মারাত্মকভাবে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত হচ্ছে। সম্প্রতি বিগত ১৫ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে লাঠিটিলা বনের কমলছড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি প্রাপ্তবয়স্ক চশমাপরা হনুমান মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। এই হনুমান মারা যাওয়ার পরে টানা কয়েকদিন পুরো হনুমান দলটি সেখানে অবস্থান নিয়ে শোকের মাতম করেছে।


স্মারকলিপিতে আরও বলেন, এমতাবস্থায় লাঠিটিলার মিশ্র চিরসবুজ সংরক্ষিত বনাঞ্চলটির বিদ্যমান বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী বন্যপ্রানীসহ সেখানকার সার্বিক জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা ও সংরক্ষণের স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে উক্ত বনভূমি ও বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালিত বৈদ্যুতিক তারের লাইন পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এবং বিদ্যমান আবরণ বিহীন খোলা তার সরিয়ে রাবার মোড়ানো কিংবা অন্য কোন বিদ্যুৎ অপরিবাহী মাধ্যমের আবরণযুক্ত তার সংযোজন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।


জুড়ীরসময়/ডেস্ক/হোসাইন