দোয়ার লিস্ট রেডি সবার?

 

মোঃ মেহেদী হাসান::

দোয়া করার সময় আমরা আল্লাহ সুবহানা তা'লার সামর্থ্য কে ভুলে যাই। আমরা আমাদের গন্ডির চারপাশে দুয়া করতে চাই।

কিন্তু তিনি তো সেই সুমহান সত্ত্বা, যিনি বলেন হও, আর হয়ে যায়।

তিনি মাছের পেটের অন্ধকার থেকে মুক্তি দিয়েছেন ইউনুস আলাইহিস সালাম কে, তিনি প্রচন্ড কষ্টকর অসুস্থতা থেকে সুস্থতা দিয়েছেন আইয়ুব আলাইহিস সালাম কে, তিনি বার্ধক্যে উপনীত অবস্থায় সন্তান দান করেছেন জাকারিয়া আলাইহিস সালাম কে।

তিনি সমুদ্র ভাগ করে পার করে দিয়েছেন মুসা আলাইহিস সালাম কে, আগুনকে আরামদায়ক করে দিয়েছেন ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম কে।

তিনি আমার আপনার দুয়া কবুল করবেন না?


কী আশ্চর্য ভংগুর হৃদয় আমাদের!


চলুন, আজ কাগজে দুয়া লিস্ট করি।


কোন ভণিতা ছাড়া, কোন ভূমিকা ছাড়া দুয়া। নবী রসুলরা যেভাবে সরাসরি চাইতেন।


রব্ব ডেকে, আকুল হয়ে, বিনীত হয়ে, ক্ষমা চেয়ে, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে।

জুতার ফিতা পর্যন্ত চাইতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, আর আমরা কী না কার্পন্য করি!

যাদের দুয়া লিস্ট করার অভ্যাস আছে, তারা একটা মজার জিনিস করে। প্রতি বছর তাদের লিস্ট থেকে কিছু দুয়া কেটে দিতে হয়।


কেনো?


হয় সেগুলো কবুল হয়ে গেছে, নয় তার চেয়ে আরো ভালো কিছু আল্লাহ সুবহানা তা'লা মিলিয়ে দিয়েছেন, নয়তো সেই জিনিসটা না পাওয়ার হিকমাহটা বুঝে এসেছে।

দুয়াতে কি শুধু জান্নাত চাইবো, জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইবো?

আমাদের রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম দুনিয়া ও আখিরাতের উভয় স্থানের কল্যাণ চেয়ে দুয়া করেছেন।

কবরের আযাব থেকে মুক্তি, জান্নাতুল ফিরদাউস চেয়ে, জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চেয়ে দুয়া করবো।

সেই সাথে দুনিয়ার সহজতা, কল্যাণ, দুনিয়াবি বিষয় চাইতেও কার্পণ্য করব না।

তিনি অভাবমুক্ত, রাজাদের রাজা।

তিনি ভালোবাসেন কেউ তাঁর কাছে চাইলে।

আমরা শুধু তারই ইবাদত করি, তাঁর কাছেই চাই। তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট।



লেখকঃ মো: মেহেদী হাসান

শিক্ষার্থী:আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।


জুড়ীরসময়/ ডেস্ক /এবিডি