কিছু কিছু ব্যার্থতা আমার কাঁধে নিয়ে নিলাম

কিছু কিছু ব্যার্থতা আমার কাঁধে নিয়ে নিলাম


সাহাব উদ্দিন সাবেল::

গত কয়েকদিন থেকে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। বলা যায় "টপ অব দ্যা মৌলভীবাজার"। এরমধ্যে জুড়ীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খাঁন জয়'র আগমন। এইদিন রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। জেলার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় অনেকেই লিখছেন কমিটির মেয়াদ নাকি এখনো শেষ হয় নি।

ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুড়ী উপজেলা শাখার নতুন কমিটিতে সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী পদ প্রত্যাশীদের আগামী ১৫ অক্টোবর শনিবারে মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক বরাবর জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য আহবান করা হলো ।


এদিকে রবিবার (২ অক্টোবর) দিবাগত-রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল নিজের  ফেসবুক আইডিতে  জয়" ভাই এর সাথে সারাদিন আনন্দময় মুহুর্ত উপভোগ ও জুড়ী উপজেলা শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা প্রসঙ্গে একটা পোস্ট করেন। পাঠকদের সুবিধার্তে পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলে- 


লোকমুখে শোনা পুর্ব ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সংগ্রামী সু-যোগ্য সভাপতি জনাব আল নাহিয়ান খাঁন জয় ভাই, গত ০১অক্টোবর ২০২২ ইং বেলা তিন ঘটিকায় জুড়ী উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব এস এম জাকির হোসাইন ভাই এর বাড়িতে  আগমন করিবেন।কিন্তু জেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক আমাদের জুড়ী উপজেলা ও কলেজ শাখাকে  কোনভাবেই উক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি অবগত করেন নি।কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সংগ্রামী সভাপতি আমাদের জুড়ীতে আসবেন শুনে গতরাত প্রায় এগারো ঘটিকায় আমরা উপজেলা ও কলেজ শাখা'র সভাপতি সম্পাদক  বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে, উক্ত বিষয় টি নিশ্চিত হই।কিন্তু দুঃখের বিষয় গতকাল রোজ শুক্রবার সকাল থেকে রাত অবধি মোবাইল ফোনে বার বার  যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে আমার নেতা,জেলা ছাত্রলীগ এর নন্দিত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম ভাই এর কোন সাড়া পাইনি,এবং একই সাথে আমার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভুইয়া উজ্জ্বল জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিরুল হোসাইন চৌধুরী আমিন ভাই এর   সাথে ও বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তিনি ও ব্যার্থ হোন বলে আমাকে জানান।
যাইহোক আমরা উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগ নিজ উদ্যোগে অল্প সময়ে বিশাল শোডাউন দিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা জয় ভাই কে সম্মাননা জানাই,এবং উনার যাত্রা পথে সন্ধ্যায় জুড়ী নাইট চৌমুহনী থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানাই।

যেহেতু আমাদেরকে জেলা ছাত্রলীগ জানান নি, তারপরও ছাত্রলীগ এর ভাবমূর্তি ও জুড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এর সু যোগ্য সভাপতি"জয়" ভাই  কে সাধ্যমতো সম্মান দেয়ার চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখিনি।আমাদের জয় ভাই আমাদের কে সাংগঠনিক  এবং ব্যাক্তিগত ভাবে স্নেহ ও ভালোবাসার চোখে দেখার চেষ্টা করেছেন কিন্তু ঐ কু চক্রী মহল আমাদের কে সবসময় জয় ভাই এর কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। উক্ত মটর শোভাযাত্রায় আমার এক বন্ধু ও স্নেহের ছোট ভাই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা ও  নিচ্ছে। সর্বপরি জেলা ছাত্রলীগ আমাদের কে জানান নি কারন টি আমরা এখনো জানতে পারিনি। যাই হোক আমরা আমাদের বড় মনের পরিচয় দিয়েছি, জুড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনের ভাবমূর্তি রক্ষায় আমাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি বলে আমি বিশ্বাস করি। এত গোছানো একটি কমিটি সকল প্রোগ্রাম, আন্দোলনে স্বক্রীয় ভূমিনা পালন করে আসছে। মানবিক কাজ সহ রাজনৈতিক প্রোগ্রাম  এ জেলার সেরা এবং সেরাদের সেরা প্রোগ্রাম উপহার দিয়েছি। সবকিছু গুছিয়ে আজ সকাল থেকে রাত অবধি জয় ভাইকে প্রটোকল দিয়ে জুড়ী থেকে বিদায় দেয়ার এক ঘন্টা পর কিভাবে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ কে মেয়াদোত্তীর্ণ বলে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তা আমার বোধগম্য নয়।

আলহামদুলিল্লাহ, ছাত্রলীগ থেকে  পেয়েছি অনেক, দেয়ার চেষ্টা করেছি কতটুকু পেরেছি জুড়ী ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাই তা জানান দিবেন।

কিছু কিছু ব্যার্থতা আমার কাঁধে নিয়ে নিলাম। আমি একজন কঠোর মানুষ,যা বলি সামনে বলেছি এতে আমার শত্রু অনেক বেশি। কর্মী কিংবা আমার ভাইদের সাথে অনেক কঠোর আচরণ করেছি,আমাকে ক্ষমা করবেন নিজের ভাই মনে করে। ভালো থাকুক আমার প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ভালো থাকুক।
আল্লাহ হাফিজ...


জুড়ীরসময়/ডেস্ক/সাইফ