আত্মহনন-ই কি চুড়ান্ত সমাধান?

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ:: 

প্রত্যেকটা মানুষই বাস্তব জীবনে কমবেশি  সমস্যায় জর্জরিত। সমস্যা ছাড়া মানব জীবন অকল্পনীয়। তাই প্রত্যেক সমস্যার বুদ্ধিদীপ্ত সমাধানের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে চলা। এতেই আমাদের সুখ এবং শান্তি। 

কিন্তু ইদানিংকালে বিশেষকরে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ক্যরিয়ার, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে বেশ হতাশা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর দিন দিন এই হতাশা এতটাই গভীর হয় যে,  সমাধান হিসেবে অনেকেই আত্মহনন বা আত্ম*হ*ত্যার মতো জঘন্য পন্থা বেছে নিচ্ছেন। যা কোনভাবেই চুড়ান্ত সমাধান নয় বরং কাপুরুষত্বের পরিচয়। তাছাড়া পরিবার সমাজ  এবং রাষ্ট্রের জন্য কোনভাবেই মঙ্গলজনক নয়। এই জঘন্য পন্থা  ঐ ব্যক্তির জন্য নিতান্তই এক মহা অভিশাপ। 

হতাশা আর দুশ্চিন্তায় আমরা যখন ন্যুব্জ হয়ে যাই তখনই মনে সাহস নিয়ে

উঠে দাড়াই। ধৈর্যের সাথে নিজেকে শক্ত করি। আর চোখ খোলে চারিপাশ একটু দেখি। পা-হাত বিহীন একজন মানুষ নিজেকে বাচিয়ে রাখার জন্য হাসিমুখে কত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কঠিন সাধনার মধ্যেও জীবনকে কিভাবে সে উপভোগ করছে। এর চেয়ে বড় শিক্ষা, প্রেরণা আর কি হতে পারে আমাদের  বেঁচে থাকার জন্য। 


নিজে এবং পরিবারের জন্য বাঁচি। তাছাড়া হতাশা আর দুশ্চিন্তায় জর্জরিত মানুষের কাধে হাত রাখার মতো মানুষ এজগতে খুবই কম। কম বললেও যেন কম হবে। নিজের কাধ-কে নিজেই শক্তিশালী করতে হবে। তখন কাধে হাত দেয়ার মতো লোকের অভাব হবে না। 

অতএব, জীবন মানেই লড়ে যাওয়া,হতাশায় কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাওয়া নয়।হতাশা দুশ্চিন্তা চিরকাল থাকে না। জীবনে কঠিন সময় পেরিয়ে স্বপ্নের সূর্যদয় অবশ্যম্ভাবী। 

হে তরুণ,

চলো না আজ থেকে অন্তত নিজেকে একটু ভালোবাসি।



জুড়ীরসময়/জাহিদ/এবিডি