শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

জুড়ীরসময়


মনিরুল ইসলাম::

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শিলুয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে গত মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবরে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে আসেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে  একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর একজন,
সহকারী কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, একজন নিরাপত্তাকর্মী এবং একজন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। লিখিত অভিযোগকারীরা বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিভিন্ন পদে আবেদন করে। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে তাদের আবেদন বৈধ প্রমানিত হয় বলে তারা উল্লেখ করেন। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ গভর্নিং বডি অবৈধ নিয়োগ কমিটি গঠন করে, প্রশ্নপত্র নির্ধারিত প্রার্থীদের হাতে গোপনে পৌঁছে দিয়ে ও  অবৈধ অর্থের বিনিময়ে কলেজ গভর্নিং বোর্ড ও  নিয়োগ কমিটি পরস্পর যোগসাজশে প্রকৃত মেধাবীদের নিয়োগ না দিয়ে তাদের পছন্দসই প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগে তারা আরোও উল্লেখ করেন, গত ৮ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ের পরে অর্থাৎ আবেদনকারীদেরকে জানানোর সময় (সকাল ১১ টায়) পরীক্ষা গ্রহণ না করে তার পরিবর্তে (দুপুর ১.০৫ মিনিটে)  গ্রহণকৃত পরীক্ষার মাধ্যমে শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের পাঁচটি পদে অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

সোমবার বিকেলে  লিখিত অভিযোগকারী (অফিস সহায়ক পদে আবেদনকারী) কান্ত লাল কল ও মিলন গোয়ালা মুঠোফোনে বলেন, আমাদের সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বেশ কয়েকজনের কাছে পূর্ব থেকে প্রশ্ন ছিল। গভর্নিং বডির সভাপতি সাহাব উদ্দিন লেমন ও প্রধান শিক্ষক সেলিম উদ্দিন অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য করে মেধাবীদের পাশ কাটিয়ে অন্যদের নিয়োগ দিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়া মুঠোফোনে সরাসরি ছাড়া এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

গভর্নিং বডির  সভাপতি শাহাব উদ্দিন লেমন বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিরপেক্ষ হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে আমার জানা নেই।

জেলা  শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগের  বিষয়ে আজ সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিবেন।

জুড়ীরসময়/এমই/সাইফ