মৌলভীবাজারে ৩০টি কে.জি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে

মৌলভীবাজারে ৩০টি কে.জি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে


নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশের সব স্কুল ও কলেজ খুলেছে। কিন্তু মৌলভীবাজার জেলার কমপক্ষে ৩০টি কিন্ডারগার্টেন (কে. জি.) স্কুল আর খোলেনি।

মৌলভীবাজার কিন্ডারগার্টেন সমিতির সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ৪১৪টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ছিলো। এরমধ্যে কুলাউড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১০৮টি।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এহসান বিন মুজাহির বলেন, জেলায় কমপক্ষে ৩০টি কে.জি. স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো আর কখনও খুলবে না।

জেলার কয়েকটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার বন্ধে বিভিন্ন ক্লাসের বহু শিক্ষার্থী কোনো-না কোনো কাজে যুক্ত হয়েছে গেছে। এই মুহূর্তে তাদের পড়ার টেবিলে বসানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে বিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন পর সহপাঠী, শিক্ষকদের দেখতে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। আর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি স্কুল মাতৃছায়া শিশু শিক্ষা একাডেমি। করোনার আগে শতখানেক শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলে ক্লাস চলছিলো। শিক্ষক ছিলেন ১০ জন। স্কুল প্রধান মো. ইয়াহিয়া বলেন, ‘করোনা শুরুর পর থেকে স্কুল বন্ধ করে দেই। স্কুলের ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ চালানো আমাদের মুশকিল। তার জন্যে স্কুলটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এহসান বিন মুজাহির বলেন, এই স্কুলগুলো চলে ব্যক্তি মালিকানায়। বেশিরভাগ স্কুলই ভাড়া ভবনে। ভাড়া দিতে না পারায় ভবন ছেড়ে দিতে হয়েছে। আর শিক্ষকরাও যে যেদিকে পেরেছেন, চলে গেছেন। আরও বেশকিছু স্কুল বন্ধের পথে রয়েছে।

মৌলভীবাজারে শ্রেণি কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি গাইডলাইন মেনে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা দেখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

মৌলভীবাজারে ২৪টি কলেজ, ১৭৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭১টি মাদ্রাসা, ২ হাজার ৫৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ১টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ও ১টি প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে।
জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এস