কনস্টান্টিনোপল থেকে ইস্তাম্বুল

কনস্টান্টিনোপল থেকে ইস্তাম্বুল

খালেদ মাসুদ::

এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় উম্মাহর এক গৌরবময় অধ্যায়ের। ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দের আজকের এই দিনেই উসমানী সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ রহ. এর নেতৃত্বে মুসলিমরা কন্সট্যান্টিনোপল জয় করে যে বিজয় সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ ﷺ ভবিষ্যৎবাণী করে গিয়েছিলেন।

“নিশ্চয়ই তোমরা কন্সট্যান্টিপোল বিজয় করবে। তার আমীর উত্তম আমীর হবে এবং সেই বাহিনী উৎকৃষ্টতম সেনাবাহিনী হবে।” (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদীস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম ৫/৬০৩, হাদীস : ৮৩৪৯; মুজামে কাবীর, তাবারানী, হাদীস : ১২১৬)


যুগের পর যুগ ধরে কন্সট্যান্টিনোপল শহরটি ছিল অজেয়। সেই অজেয় কন্সট্যান্টিনোপল অবশেষে মুসলিমদের করতলগত হলো। দিনটি ছিল ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মে। সেই মহান বিজয়ের নায়ক উসমানী সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ রহ. যিনি মাত্র ২১ বছর বয়সেই দুনিয়ার অন্যতম সুরক্ষিত শহরটি জয় করে নেন। মহান এই বিজয়ে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ যে ধৈর্য,বিচক্ষণতা ও রণকুশলতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা তাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিজেতাদের একজনে পরিণত করে।

সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ ৮৩৫ হিজরী সনের রজব মাসের ২৭ তারিখ, ঈসায়ী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৪৩২ সনের ৩০ মার্চ উসমানী সালতানাতের তৎকালীন রাজধানী ‘এদিরনে’ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন উসমানী সম্রাজ্যের ৬ষ্ঠ শাসক সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ, মাতার নাম হুমা ওয়ালিদা খাতুন।

ছোটবেলা থেকেই দক্ষ শিক্ষক ও আলেমদের অধীনে থেকে সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ বড় হন। তার চরিত্র, মানসিকতার উপর সবচেয়ে বড় প্রভাব ছিল তার শিক্ষক শায়খ আকা শামসউদ্দীনের। তার কাছ থেকেই পাওয়া শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা থেকে কন্সট্যান্টিনোপল বিজয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করেন সুলতান মুহাম্মদ। 

১৪৪৪ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মুরাদ তার পুত্রের কাছে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কিন্তু সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ ক্ষমতার প্রথম দফায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।বেশকিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুলতান মুরাদ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসেন। অবশেষে, ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মুরাদের ইন্তেকালের পর সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ আবারো এদিরনের প্রাসাদে বসেন।

সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের ইন্তেকালের পর সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ উসমানী সম্রাজ্যের সুলতান পদে অধিষ্ঠিত হয়েই কন্সট্যান্টিনোপল জয়ের লক্ষ্য পূরণে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। আনাতোলিয়ায় সম্রাজ্যের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য কারামান প্রদেশের আমীরের বিরুদ্ধে ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দে অভিযানে নামেন।সার্বিয়া ও হাঙ্গেরীর সাথে একটি শান্তিচুক্তির পর তিনি কন্সট্যান্টিনোপল জয়ের জন্য পূর্ণাঙ্গরূপে প্রস্তুতি শুরু করেন।

বসফরাসের এশীয় অংশে সুলতান বায়েজীদ ইয়ালদিরিম আনাদোলু হিসারী নামে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিল। সুলতান মুহাম্মদ বসফরাসের ইউরোপীয় অংশে আরেকটি দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু করেন।বসফরাস প্রণালীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়া ছিল কন্সট্যান্টিনোপল বিজয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বসফরাসের নিয়ন্ত্রণের দ্বারা বাইজান্টাইন সম্রাজ্যকে ইউরোপের অন্য সম্রাজ্যগুলোর সাহায্য হতে দূরে রাখা ছিল সুলতানের একটি কৌশল। ১৪৫২ খ্রিস্টাব্দে রুমেলী হিসারীর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।


আরবান নামক এক হাঙ্গেরীয় নওমুসলিম (কারো কারো মতে সে খ্রিস্টান ছিল) ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্যে সুলতান মুহাম্মদ বেশকিছু বড় কামান নির্মাণ করেন যার মধ্যে একটি কামান ছিল অন্যসব কামানের চেয়ে আকারে অনেক বড়। এটির ওজন ছিল আনুমানিক ১৫০০ কিলোগ্রাম।সুলতান মুহাম্মদ তার সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজান।জেনেসারি বাহিনীর মধ্যে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করেন।

কন্সট্যান্টিনোপল শহরের ইতিহাস অনেক পুরনো। ৩৩০ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট কন্সট্যান্টাইন দ্য গ্রেট শহরটিকে নিজ সম্রাজ্যের রাজধানীতে রূপদান করেন। যুগ যুগ ধরে এই নগরী ছিল রোমান সম্রাজ্যের রাজধানী। কন্সট্যান্টিনোপল ছিল তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত শহর।শহরের তিনদিক দিয়ে ছিল সমুদ্র দ্বারা সুরক্ষিত। শহরটির চারপাশে ২০ মাইল স্থান জুড়ে ছিল দুর্ভেদ্য প্রাচীর।তাদের নৌবহরে ২৬ টির মতো জাহাজ ছিল যেগুলোর কয়েকটি জেনোয়া, ভেনিস এমনকি সুদূর ফ্রান্স থেকেও এসেছিল। বাইজান্টাইন বাহিনীর সৈন্য বাহিনীর কয়েক হাজার ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ হতে আগত এবং ৫০ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী যারা ছিল শহরের নাগরিক। জেনোয়া হতে আগত জিওভান্নি গোয়াস্টিনিয়ানের সাথে ছিল ৭০০ অভিজ্ঞ সৈন্য। তাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল শহরের সুরক্ষাব্যবস্থা এবং শহরটির কৌশলগত অবস্থান।

অন্যদিকে সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ’র বাহিনীতে ছিল ৫০ হজার থেকে ৭০ হাজার সৈন্য যার মধ্যে আনুমানিক ১০ হাজার জেনেসারি ছিল। সুলতানের নৌবহরে ১২৬ টির মতো জাহাজ ছিল। গোলন্দাজ বাহিনীর হাতে ছিল ৭০ টি বিভিন্ন আকারের কামান।

অবশেষে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ সেনাবাহিনী নিয়ে স্থলপথে কন্সট্যান্টিনোপল শহরের কাছে উপস্থিত হন এবং শহরের সেইন্ট রোমানাসের ফটকের বিপরীতে তার শিবির স্থাপন করেন।উসমানী নৌবাহিনী অ্যাডমিরাল সুলাইমান বালুতুঘলুর নেতৃত্বে গোল্ডেন হর্ণের বাইরে মারমারা সাগরে অবস্থান নেয়।

৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সুলতান মুহাম্মদের অবরোধ ও গোলাবর্ষণ। কিন্তু একবার কামানগুলো দিয়ে গোলাবর্ষণ করার পর দ্বিতীয়বার গোলাবর্ষণ করতে অনেক সময় লাগতো। এজন্য এতে বিশেষ সুবিধা হয়নি, বাইজান্টাইন সৈন্যরা দ্রুতই দেয়ালের ফাটল মেরামত করে নেয়ার সময় পেত। তাছাড়া শহর প্রতিরক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকেই সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল। সুলতান মুহাম্মদ পরিখা খনন করে প্রাচীরের কাছে সেনাদের নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু প্রাচীরের উপর আরোহন করার মত অবস্থা মুসলিম সৈন্যদের ছিল না, বাইজান্টাইন সেনারা তেল গরম করে উসমানী বাহিনীর উপর নিক্ষেপ করছিল তাই বাধ্য হয়ে উসমানীদের সেখান থেকে সরে যেতে হয়।

মারমারায় অ্যাডমিরাল বালুতুঘলুর প্রধান দায়িত্ব ছিল কন্সট্যান্টিনোপলগামী ইউরোপের যেকোনো জাহাজের গতিরোধ করা। ২০ এপ্রিল সুলতানের কাছে সংবাদ এসে পৌঁছায় যে ৪ টি জেনোয়িস যুদ্ধজাহাজ উসমানী বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে সফলভাবে গোল্ডেন হর্ণে প্রবেশ করেছে যেগুলো ছিল রসদ, খাদ্য ও সমরাস্ত্র বোঝাই।

বাইজান্টাইনরা সমুদ্র বন্দরের মোহনায় বিরাট এক লৌহশিকল দুদিক থেকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল যার ফলে কোনো জাহাজের বন্দরে প্রবেশ করা ছিল একেবারেই অসম্ভব। মিত্র জাহাজকে বন্দরে প্রবেশের জন্য শিকলকে শহর থেকে আলগা করা হতো এবং বন্দরে পৌঁছানোর পর তা আবারো এমনভাবে টেনে দেয়া হতো যাতে অন্য জাহাজ প্রবেশ করতে না পারে। এই কৌশল যেকোনো তুর্কি জাহাজকে আটকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তাছাড়া সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের নৌবহরে জাহাজের সংখ্যা বেশি হলেও সেগুলো ছিল খুব ছোট আকৃতির, এমনকি সম্রাট কন্সট্যান্টাইনের সবচেয়ে ছোট জাহাজটির সমান কোনো জাহাজও সুলতানের নৌবহরে ছিল না। 

সমুদ্রের দিক থেকে কোনোরূপ আক্রমণের আশংকা না থাকায় বাইজান্টাইন সৈন্যরা তাদের সমস্ত শক্তি স্থলপথে নিয়োগ করেছিল সুলতানের বাহিনীর গতিরোধ করার জন্য। সুলতান বুঝতে পারলেন, এই অভিযানে সফল হবার জন্য তার নৌবাহিনীকে যেকোনো মূল্যে গোল্ডেন হর্ণে প্রবেশ করাতে হবেবে। গোল্ডেন হর্ণে উসমানী নৌবাহিনী প্রবেশ করতে পারলে বাইজান্টাইন বাহিনীকে দুইদিক থেকে আক্রমণ করে দু’ভাগে বিভক্ত করে দেয়া যাবে।

সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ এবার এমন এক দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন যার নজির ইতিহাসে আগে কোনোদিন কেউ দেখেনি। সুলতান তার জাহাজগুলো স্থলপথে টেনে গোল্ডেন হর্ণে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করলেন। সুলতান মুহাম্মদ তার সেনাবাহিনীকে গাছ কেটে গাছের কাণ্ডগুলো বসফরাস থেকে গোল্ডেন হর্ণের মধ্যবর্তী স্থলপথে সারিবদ্ধভাবে বিছিয়ে দেয়ার আদেশ দিলেন।একাজ সম্পন্ন হবার পর পুরো পথ চর্বি দিয়ে পিচ্ছিল করা হলো। অবশেষে ২২ এপ্রিল রাতে ৮০ টি জাহাজ বসফরাসের তীরে টেনে তোলা হয় এবং জাহাজের নাবিক ও সৈন্যসমেত কাঠের তক্তার উপর উঠিয়ে চার হাজার মানুষ ধাক্কাতে শুরু করে। বায়ু অনুকূলে থাকায় জাহাজের পাল তুলে দেয়া হয়,এতে করে জাহাজগুলো বেশ সাবলীলভাবে দশ মাইল পথ অতিক্রম করে গোল্ডেন হর্ণের সমুদ্রে অবতরণ করে একের পর এক।

সারা রাত জুড়ে উসমানী বাহিনীর হৈ-চৈ, আনন্দ উল্লাস ও হাঁকডাক শোনা যাচ্ছিল কিন্তু গ্রিকরা বুঝতে পারছিল না উসমানী বাহিনী কি করছে। ২৩ এপ্রিল সকালবেলায় বাইজান্টাইন বাহিনী আতঙ্কের সাথে লক্ষ্য করলো প্রায় ৭০-৮০ টি উসমানী রণতরী গোল্ডেন হর্ণের মোহনায় পৌঁছে গেছে।

২৪ মে,১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ

সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ সম্রাট কন্সট্যান্টাইনকে দূত পাঠিয়ে শহরবাসীর নিরাপত্তা ও ক্ষমার বিনিময়ে আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব পাঠালেন কিন্তু সম্রাট কন্সট্যান্টাইন কর দিতে রাজী হলেও শহর ত্যাগ করতে রাজী ছিলেন না।

২৮ মে, ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ। সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ পরদিন ফজরের পর চূড়ান্ত আক্রমণের ঘোষণা দেন।সেনাদের প্রস্তুতি শুরু হয়।সৈন্যদের এই মর্মে শহরে লুঠপাট চালানোর অনুমতি দেয়া হয় যে তারা কোনো ইমারত ধ্বংস করবে না, নারী-শিশু-বৃদ্ধদের হত্যা করা হবে না, নিরপেক্ষ প্রজারা আনুগত্য স্বীকার করলে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সম্রাট কন্সট্যান্টাইনও অনুভব করছিলেন শেষ সময়ের।তিনি নিজ জনগণকে আমৃত্যু লড়াই করার জন্য আহব্বান জানান এবং নিজেও একই শপথ করেন।

২৯ মে মধ্যেরাতের পরই উসমানী সেনাবাহিনী সকল ফ্রন্টে আক্রমণাত্মক অবস্থানে চলে যায়। সুলতান মুহাম্মদ ফজরের সালাতের পর আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে দু’আ করেন এবং বাছাইকৃত ১০ হাজার সেনার নেতৃত্ব নিজে সরাসরি আক্রমণের দায়িত্ব নিলেন। ২৯ মে ভোরের আলো ফুটতেই গর্জে উঠল ব্যাসিলিকা কামান, সাথে ছোট কামানগুলোও। পূর্বেও কামানের গোলা লেগেছিল এমন জায়গায় ব্যাসিলিকার আরো তিনটি গোলা আঘাত হানল। থিওডোসিয়ান দেয়ালে গর্ত হয় ও সেই দিকে জেনোসারি বাহিনী প্রবেশ করে।

শুরু হলো প্রচণ্ড সংঘর্ষ। বাইজেন্টাইনরাও প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে হাসান উলুবাদি নামের একজন সিপাহি নেতা মই নিয়ে একাই উঠে পড়লেন দেয়ালের উপর। একের পর এক তীর এসে বিঁধল তার শরীরে, তবুও তিনি অবিচল হয়েই অগ্রসর হতে থাকলেন।কোনো বাধাই থামাতে পারল না তাকে। একের পর এক তীরে বিদ্ধ হয়েও বাইজেন্টাইন পতাকা ছুঁড়ে ফেলে উলুবাদি সেই জায়গায় অটোমান পতাকা স্থাপন করলেন। হাসান উলুবাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পতাকা হাতেই, মৃত্যুর পরও প্রাণহীন হয়েও উঁচিয়ে রেখেছিলেন পতাকার খুঁটি। 

হাসানের এই উত্তলিত সানজাক দেখে সেনার আরও উজ্জীবিত হয়ে যায়। টানা ৫৩ দিন ধরে শত শত সহযোদ্ধাদের ব্যাথায় সেনারা বেপরোয়া হয়ে যায়।যদিও সুলতান নিষেধ করেছিলেন।এমন সময় দুই রেজিমেন্ট সৈনিক মোতায়েন করেন সুলতান, যেন গির্জাগুলোতে আক্রমণ না করতে পারে ক্ষিপ্ত সৈনিকেরা। 

বিনয়ের সাথে শহরে প্রবেশ করলেন সুলতান, ঘোড়া থেকে নেমেই সেজদা করলেন। তিনি কন্সটান্টিনোপলের নতুন নামকরণ করলেন ইসলামবুল (বর্তমান ইস্তানবুল), অর্থাৎ ইসলামের শহর। সুলতানের নামের সাথে যুক্ত হলো 'ফাতিহ' বা বিজয়ী। সেই থেকেই সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ পরিচিত হলেন মুহাম্মাদ আল ফাতিহ নামে। 

জুড়ীরসময়/মাসুদ/এস