আফসোস

আকমল হোসাইন::

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সম্মানিত পাঠক, আমরা আমাদের জীবনে কোন কিছু হারিয়ে ফেললে আফসোস করে থাকি। যেমন কেউ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে আফসোস করে। কেউ তার প্রিয় বস্তু হারিয়ে ফেললে আফসোস করে। আবার কেউ বিদেশ যেতে অপারগ হলে অসুস্থ হলে নিজের সন্তান কৃতকার্য না হলে বিভিন্নভাবেই আমরা আমাদের আফসোস প্রকাশ করে থাকি। 

মানুষ সামাজিক জীব । অনন্ত জীবনের প্র্যাকটিস করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানুষকে ক্ষণস্থায়ী এই জীবন দান করেছেন। মানুষের এ জীবন হাসি কান্না ঠাট্টা-বিদ্রূপ প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি আফসোস হতাশা বিভিন্ন ধরনের ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। মুমিন জীবনের অবশ্যই পুরো জীবনটাই পরকালীন জীবন কে কেন্দ্র করে গঠিত হয়ে থাকে। এজন্য মুমিনের জীবন পরিচালিত হয় ইহ জগত ও পর জগতের কল্যাণ এর আলোকে। যদিও অনেকে এটাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেন বা ধার্মিকদের কাজ হিসেবে মনে করেন। 

কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে আমরা সকলেই প্রাকৃতিক নিয়ম বা আল্লাহর নিয়মের অধীনস্থ। আমরা মানি কিংবা না মানি সকলেই আল্লাহর কাছে আমাদের কি ফিরে যেতে হচ্ছে। কে মুমিন কে কাফের কে বেঈমান কে আস্তিককে মাফিক এহুদি ,ক্রিশ্চিয়ান আমরা সকলেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের( সুন্নত ) এর মাধ্যমে  তার নিয়মের অধীন এই চলছি। তাই এই পার্থিব জীবনে আমাদের চলার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অনেক কিছু হারাই অনেক কিছু নষ্ট করি তার জন্য আমাদের অনুতপ্ত হতে হয় আফসোস করতে হয়।

যদিও আমরা আল্লাহর নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই যেমন আল্লাহর দেয়া সূর্য পানি আলো-বাতাস কি আমরা যেভাবে গ্রহণ করি যারা আমরা ইহকাল এবং পরকাল কে বিশ্বাস করি না বা লজিক দেখাই তাদেরকে অবশ্যই এটা মানতে দেখা যায় যে আল্লাহর দেয়া সূর্য আল্লাহর দেয়া বাতাস আল্লাহর দেয়া জমিনের বিকল্প কোন জমিনে চলাফেরা করার কোন সুযোগ সৃষ্টি কুলের কারো নেই। তো যাই হোক মূল কথায় আসি যেহেতু পরকালীন জীবন টা যুক্তিক পরকালীন জীবন বাস্তব এবং দুনিয়াটাকে পরকালের জন্য প্রস্তুত করার জায়গা বা পরীক্ষার জায়গা। দুনিয়ার পরীক্ষার ক্ষেত্রে যদি আপনি কোন ধরনের গাফিলতি প্রদর্শন করেন তাহলে পরকালে আপনাকে আফসোস করতে হবে। দুনিয়ায় করা আফসোস হয়তো কোন কারনে বিকল্প হতে পারে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আপনি হয়তো কোন একটা জিনিসকে আফসোসের কারণ মনে করলেও পরবর্তীতে হয়তোবা এটা অন্য একটা জিনিস দ্বারা কল্যাণকর হয়ে যেতে পারে। দুনিয়ায় কোন জিনিস আফসোস করে থাকলে লস হয়ে থাকলে তার বিকল্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এককথায় দুনিয়ার আফসোস কে কোন না কোনভাবে সহমর্মিতা সহযোগিতা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পূরণ করার যেতে পারলেও পরকালীন জীবনে যে আফসোস হবে সেই আফসোস থেকে মানুষ বের হওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। তাই আসুন পরকালে মানুষ কি কি ধরনের জিনিসের জন্য আফসোস করবে সে বিষয়ে একটু মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে জানার চেষ্টা করি। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় সাতটি জায়গায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দার আফসোসের কারণ উল্লেখ করেছেন। আমরা ধারাবাহিকভাবে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের এই উদ্ধৃতিগুলো দেখার চেষ্টা করব।

প্রথম যে আফসোস টির কথা বলব তা হচ্ছে মানুষের আমল অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনে মানুষ এই পরীক্ষাগারে যা পরীক্ষা দিয়েছে যদি তা সঠিক না হয় যদি তা হেদায়েতের উপর না থাকে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথে না হয়ে থাকে তাহলে মানুষের আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে তখন একথাটা কি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ যে কাফেররা দেখবে যে তাদের জীবনের সকল কাজই বিফলে চলে গেছে তখন তারা আফসোস করে বলবে হায় আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।

اِنَّاۤ اَنْذَرْنٰكُمْ عَذَابًا قَرِیْبًا ﭺ یَّوْمَ یَنْظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ یَدٰهُ وَ یَقُوْلُ الْكٰفِرُ یٰلَیْتَنِیْ كُنْتُ تُرٰبًا۠

যে আযাবটি কাছে এসে গেছে সে সম্পর্কে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিলাম। যেদিন মানুষ সেসব কিছুই দেখবে যা তার দু’টি হাত আগেই পাঠিয়ে দিয়েছে এবং কাফের বলে উঠবে, হায়! আমি যদি মাটি হতাম।

৭৮: আন-নাবা,:আয়াত: ৪০,

দ্বিতীয় প্রকারের আফসোস হবে মানুষ যা পাঠিয়েছিল সে তখন তা তার আমলনামায় দেখতে পাবে অর্থাৎ তার রেকর্ড দেখতে পারবে আর সেই রেকর্ড  দেখে মানুষ যখন হতাশ হবে এবং বলবে হায় এ আমলনামায় আমি যদি আগাম ভালো কিছু পাঠাতে পারতাম।

یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ قَدَّمْتُ لِحَیَاتِیْۚ

সে বলবে, হায়, যদি আমি নিজের জীবনের জন্য কিছু আগাম ব্যবস্থা করতাম!

৮৯: আল-ফাজর,:আয়াত: ২৪,

তৃতীয় প্রকারের আফসোস হবে মানুষের দুনিয়ার কার্যক্রমের উপর তার রেজাল্ট দেয়া হবে সেখানে বলা হয়েছে যারা তাদের আমলনামা বাম হাতে পাবে তারাই মূলত ক্ষতিগ্রস্ত  হবে অর্থাৎ বামপন্থীরা সেদিন আল্লাহর অভিশাপ প্রাপ্ত হবে এবং আল্লাহর ফয়সালা  নিয়ে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামে প্রবেশ করবে

وَ اَمَّا مَنْ اُوْتِیَ كِتٰبَهٗ بِشِمَالِهٖ  فَیَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ كِتٰبِیَهْۚ

আর যার আমলনামা তার বাঁ হাতে দেয়া হবে১৫ সে বলবেঃ হায়! আমার আমলনামা যদি আমাকে আদৌ দেয়া না হতো১৬

সুরা: আল-হাক্বাহ্

আয়াত নং :-25

এ আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে যে সুরা ইনশিকাক এর একটি রেফারেন্স দিয়ে তাফহীমুল কুরআনের উল্লেখ করা হয়েছে।

তাফসীর :

টিকা:১৫) সূরা ইনশিকাকে বলা হয়েছে, “আর যাকে পিছন দিক থেকে আমলনামা দেয়া হবে।” সম্ভবত তা হবে এভাবে, অপরাধীর প্রথম থেকেই তার অপরাধী হওয়ার বিষয়টি জানা থাকবে। তার আমলনামায় কি আছে তাও ঠিকঠাক তার জানা থাকবে। তাই সে অত্যন্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাঁ হাত বাড়িয়ে তা গ্রহণ করবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই নিজের পেছনের দিকে লুকিয়ে ফেলবে যাতে কেউ তা দেখতে না পায়।

টিকা:১৬) অর্থাৎ হাশরের ময়দানে প্রকাশ্যে আমার হাতে এ আমলনামা দিয়ে সবার সামনে লাঞ্ছিত ও অপমানিত না করে যে শাস্তি দেয়ার তা দিয়ে ফেললেই ভালো হতো।

চতুর্থত যারা আল্লাহর রাসূলের অনুসরণ করতো না কিয়ামতের ময়দানে যখন তার চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যাবে তখন ওই মানুষেরা আফসোস করতে করতে তাদের হাত কামড়াতে থাকবে যে কথাটা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা ফুরকানের উল্লেখ করেছেন

وَ یَوْمَ یَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰى یَدَیْهِ یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِی اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِیْلًا

জালেমরা সেদিন নিজেদের হাত কামড়াতে থাকবে এবং বলতে থাকবে, “হায়! যদি আমি রসুলের সহযোগী হতাম।

২৫: আল-ফুরকান,:আয়াত: ২৭,

পঞ্চম আফসোস কি হবে মানুষের সঙ্গীদের নিয়ে। অর্থাৎ আমরা আমাদের জীবন চলতে গিয়ে যেসব ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব হয় বা যাদেরকে নিয়ে আমরা ঘনিষ্ঠ ভাবে জীবন যাপন করি তারা যদি আপনার দুনিয়ায় এবং পরকালের উপকারী বন্ধু না হয়ে থাকে তাহলে কেয়ামতের দিন আপনার-আমার সেটাও আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা ফুরকানের বিষয়ে বলেছেন

یٰوَیْلَتٰى لَیْتَنِیْ لَمْ اَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِیْلًا

হায়! আমার দুর্ভাগ্য, হায়! যদি আমি অমুক লোককে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করতাম।

২৫: আল-ফুরকান,:আয়াত: ২৮,

ষষ্ঠ প্রকার আফসোসের কারণ হবে মানুষের আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য না করার কারণে দুনিয়ায় নিজের মনগড়া মতবাদের পিছে ছুটে আল্লাহ আল্লাহর রসূলের নাফরমানী করার কারণে মানুষ কিয়ামতের দিন আফসোস করবে । পৃথিবীর জীবনে মানুষ যদি আল্লাহর দেয়া বিধান এবং আল্লাহর রাসূলের অনুসরণ না করে তাহলে কিয়ামতের দিন সেটাও তার জন্য আফসোসের কারণ হয়ে যাবে এবং সে তখন সত্যিকার অর্থেই বুঝতে পারবে যে দুনিয়ায় মানুষের বানানো মতবাদের পিছনে ছোটার কারণে তার পরিণতি হয়েছে তখন সে আফসোস করবে এবং বলবে হায় আমি যদি আল্লাহর রাসূলের অনুসরণ করতাম।

یَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوْهُهُمْ فِی النَّارِ یَقُوْلُوْنَ یٰلَیْتَنَاۤ اَطَعْنَا اللّٰهَ وَ اَطَعْنَا الرَّسُوْلَا

যেদিন তাদের চেহারা আগুনে ওলট পালট করা হবে তখন তারা বলবে “হায়! যদি আমরা আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করতাম।” ৩৩: আল-আহযাব,:আয়াত: ৬৬,


সপ্তম যে আফসোস টি মানুষ কেয়ামতের দিন করবে তা হচ্ছে সত্যপন্থীদের সাথী হওয়া থেকে বিরত থাকার কারণে মানুষ কিয়ামতের দিন আফসোস করবে এবং নিজে নিজেই তখন বলবে হায় আমি যদি আজ ভালো মানুষদের সঙ্গী হয়ে আসতে পারতাম অর্থাৎ সৎসঙ্গ আল্লাহ আল্লাহর রাসুলের পথে অনুসরণকারী পরিচালনাকারী দল গোষ্ঠী এবং জাতির সাথে যারা সম্পর্ক রাখবে না কিয়ামতের দিন তাদের ও আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে

وَ لَئِنْ اَصَابَكُمْ فَضْلٌ مِّنَ اللّٰهِ لَیَقُوْلَنَّ كَاَنْ لَّمْ تَكُنْۢ بَیْنَكُمْ وَ بَیْنَهٗ مَوَدَّةٌ یّٰلَیْتَنِیْ كُنْتُ مَعَهُمْ فَاَفُوْزَ فَوْزًا عَظِیْمًا

আর যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তাহলে সে বলে—এবং এমনভাবে বলে যেন তোমাদের ও তার মধ্যে কোন প্রীতির সম্পর্ক ছিলই না,-হায়! যদি আমিও তাদের সাথে হতাম তাহলে বিরাট সাফল্য লাভ করতাম।

৪: আন-নিসা,:আয়াত: ৭৩,

অষ্টম চাপ সৃষ্টি মানুষ করবে কিয়ামতের মাঠে তা হচ্ছে মানুষ কাউকে খাবার দানে নিরুৎসাহিত করা অর্থাৎ খাবার রান্না করা আল্লাহর সাথে শরীক করা বেসিক্যালি এই বিষয়টা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শরীক করা অর্থাৎ যখনই মানুষের কাছে কোন ধরনের পরিস্থিতি আসে সম্পদ আসে সে যদি এই সম্পদের অন্যান্য কেনা এবং আল্লাহর সাথে শরীক করে নিজের জন্যই বরাদ্দ করে আল্লাহর রাস্তায় দেয়া থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর কি অন্য কাউকে শরিক করে তাহলে সেই বিষয়টাও কিয়ামতের দিন আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে একটি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন এভাবে উল্লেখ করেছেন একটি উদাহরণ দিয়ে।

وَ اُحِیْطَ بِثَمَرِهٖ فَاَصْبَحَ یُقَلِّبُ كَفَّیْهِ عَلٰى مَاۤ اَنْفَقَ فِیْهَا وَ هِیَ خَاوِیَةٌ عَلٰى عُرُوْشِهَا وَ یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُشْرِكْ بِرَبِّیْۤ اَحَدًا


শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত ফসল বিনষ্ট হলো এবং সে নিজের আংগুর বাগান মাচানের ওপর লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে থাকতে দেখে নিজের নিয়োজিত পুঁজির জন্য আফসোস করতে থাকলো এবং বলতে লাগলো, “হায়! যদি আমি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক না করতাম।”

১৮: আল-কাহাফ,:আয়াত: ৪২,

নবম যে আফসোস টি করবে মানুষ  কিয়ামতের দিন যখন তার ফায়সালা হবে যাবে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের কিনারায় দাঁড়িয়ে মানুষ আফসোস করে বলবে আবার যদি দুনিয়ায় ফিরে যেতে পারতাম আমি সত্যপন্থীদের সাথী হয়ে যেতাম এবং আমার আমল কে সংশোধন করে নিতাম এটি হবে একজন জাহান্নামের সবচেয়ে কষ্টকর ফরিয়াদ এবং আফসোস। এবং তখন মানুষ বারবারই সত্যপন্থীদের সাথী হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে আফসোস করবে যে কথাটি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা আনআমের বলেছেন। ৬: আল-আনয়াম,:আয়াত: ২৭,

وَ لَوْ تَرٰۤى اِذْ وُقِفُوْا عَلَى النَّارِ فَقَالُوْا یٰلَیْتَنَا نُرَدُّ وَ لَا نُكَذِّبَ بِاٰیٰتِ رَبِّنَا وَ نَكُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ

হায়! যদি তুমি সে সময়ের অবস্থা দেখতে পারতে যখন তাদেরকে জাহান্নামের কিনারে দাঁড় করানো হবে। সে সময় তারা বলবে, হায়! যদি এমন কোন উপায় হতো যার ফলে আমরা আবার দুনিয়ায় প্রেরিত হতাম তখন আমাদের রবের নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা বলতাম না এবং মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম।

সম্মানিত পাঠক আসুন আমরা আমাদের জীবনে চরম হতাশা ও আফসোসের সময় আসার পূর্বেই আমাদের নিজেকে আফসোস করার পূর্বেই প্রস্তুতি গ্রহণ করি। এক্ষেত্রে যে ৯ টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সে নয়টি বিষয়ই আমাদের নিজেদের মধ্যে প্র্যাকটিস করা উচিত এবং চূড়ান্ত ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সঠিক দ্বীনের জ্ঞান দান করুন এবং মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে নিজের জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে পরকালীন আফসোস থেকে রক্ষা করার জন্য জীবন পরিচালনার তৌফিক দান করুন আমিন

লেখক: শিক্ষার্থী, সাইপ্রাস

জুড়ীরসময়/ডেস্ক/এস