জুড়ীতে কমলা বাগান রক্ষায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ

খোরশেদ আলম::

২০২০-২১ অর্থ বছরে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় পূরাতন কমলা বাগান রক্ষায় কৃষকদের প্রশিক্ষন দেবে কৃষি অধিদপ্তর।

জুড়ী উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমলা আসে। তাই বিশেষ করে জুড়ী উপজেলার কমলা চাষীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যাতে করে বেশি ফলনের পাশাপাশি কমলা গাছের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকে।

সোমবার (৩০ মার্চ) উপজেলার হল রুমে এক কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- অতিরিক্ত পরিচালক সিলেট বিভাগীয় কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ - পরিচালক কাজী লুৎফুল বারি, সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকতা জসিম উদ্দিন ও উপজেলা কৃষি কর্মকতা নাজমুল কায়সার, সহকারি কৃষি অফিসার রনি সিং প্রমূখ।

এসময় কমলা চাষীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল আজিম বাবেল, বাবুল মিয়া, রফিক উদ্দিন, মানিক মিয়া, ভোট্টু মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, কালাম মিয়া।


উপস্থিত সকল কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার, তিনি বলেন, জুড়ী উপজেলায় আমি প্রথম এসেছি এতো সুন্দর প্রকৃতি প্রথম দেখে আমার ভালো লেগেছে। আজকে সময় স্বল্পতার জন্য সবাইকে দেখতে না পারলেও কমলা চাষিদের সাথে দেখা হলো। সেটা সব চেয়ে বড় ভাগ্য, ভবিষ্যৎতে আপনাদের বাগান গুলো পরিদর্শন করে দেখবো।

তিনি বলেন, আপনারা মাঠে কাজ করেন কৃষিতে আপনাদের ও অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে সেটা হলো আমরা মানুুষ আমাদের ৩ বেলা খেতে হয়। একটা গাছ তারও খাবারের প্রয়োজন হয়। আমরা খাই হাত দিয়ে, সে খায় শেকড় দিয়ে।

এই বিষয়গুলো আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনারা গাছগুলোকে নিজ দায়িত্বে যত্ন নিবেন তখন আপনারা নিজেই উপকৃত হবেন। এক সময় দেখা যেতো জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলতো আমি নিজেও অনেক খেলেছি। এখন একটা জাম্বুরার মূল্য অনেক, খাওয়ার জন্যই পাওয়া কঠিন। সে জন্য আপনারা যদি কমলা,মাল্টা ও জাম্বুরার বাগান করতে চান তাহলে কুলাউড়ায় আমাদের হটিক্যালচার সেন্টার আছে সেখান থেকে চারা সংরক্ষন করে নিজে সহজে বাগান তৈরি করতে পারবেন।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক কাজী লুৎফুল বারি বলেন, জুড়ীতে বর্তমানে দুই প্রজাতির কমলা রয়েছে।  নতুন করে দিবো বারি কমলা ৩ দার্জিলিংয়।  এটি কমলা প্রজাতি উচ্চ ফলনশীল। যাটা জাম্বুরা বারি জাম্বুরা পাঁচ, লেবু, চায়না লেবু, মাল্টা, জারালেবু সব গুলো মিশ্র ফল বাগান করেন। সেগুলো আস্তে বাড়াতে হবে তাহলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।


জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের জুড়ীতে লেবু জাতীয় সকল ফসলের ফলন ভালো হয়। এবার আমরা কয়েকটি কলমা, জাম্বুরা, মাল্টা, সাতকড়া, লেবুর কয়েকটি প্রদর্শনী দিয়েছি। এগুলো থেকে আপনারা প্রজনন ক্রমে গাছের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনারা নিজেরাই উপকৃত হবেন এবং দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে যাবে। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ আমরা চেষ্টা করলে আরো অনেক এগিয়ে যেতে পারি সে জন্য কৃষকের পরিচর্যাটাই আসল, বিশেষ করে সিলেটের কমলার জন্য ঐতিহ্যটা ধরে রাখছে জুড়ীর কমলা।


জুড়ীরসময়/খোরশেদ/ডেস্ক